বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায় । VII উপদেশ আধুনিক জ্ঞানের সহিত মিলিতেছে। প্রাচীনেরা মনকে ভিত্তিস্বরূপ লইয়া তাহদের অনুসন্ধানে অগ্রসর হইয়াছিলেন ; তাহার এই ব্ৰহ্মাণ্ডের মানসিক ভাগটার বিশ্লেষণ করিয়াছিলেন এবং তদ্বারা কতকগুলি সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছিলেন আর আধুনিক বিজ্ঞান উহার ভৌতিক ভাগ বিশ্লেষণ করিয়া ঠিক সেই সিদ্ধান্তেই উপনীত হইয়াছেন । উভয়প্রকার বিশ্লেষণই একই সত্যে উপনীত হইয়াছে । আপনাদের অবশ্যই স্মরণ আছে যে, এই জগতে প্রকৃতির প্রথম বিকাশকে সাংখ্যবাদিগণ মহৎ বলিয়া থাকেন । আমরা উহাকে সমষ্টি বুদ্ধি বলিতে পারি—উহার ঠিক শব্দার্থ—সর্ববশ্রেষ্ঠ তত্ত্ব। প্রকৃতির প্রথম বিকাশ এই বুদ্ধি। উহাকে অহংজ্ঞান বলা যায় না, বলিলে ভুল হইবে। অহংজ্ঞান এই বুদ্ধিতত্ত্বের অংশবিশেষ মাত্র—বুদ্ধিতত্ত্ব কিন্তু সাৰ্ব্বজনীন তত্ত্ব। অহংজ্ঞান, অব্যক্ত জ্ঞান ও জ্ঞানাতীত অবস্থা—এই সকলগুলিই উহার অস্তুগত। উদাহরণস্বরূপ—প্রকৃতিতে কতকগুলি পরিবর্তন আপনাদের চক্ষের সমক্ষে ঘটিতেছে, আপনারা সেগুলি দেখিতেছেন ও বুঝিতেছেন কিন্তু আবার কতকগুলি পরিরর্তন আছে, সেগু ল এত সূক্ষম যে, কোন মানবীয় বোধশক্তিরই উহার আয়ত্ত নহে । এই উভয় প্রকার পরিবর্তন একই কারণ হইতে হইতেছে, সেই একই মহৎ ঐ উভয়প্রকার পরিবর্তনই সাধন করিড়েছে। আবার কতকগুলি পরিবর্তন আছে, যেগুলি আমাদের মন বা বিচারশক্তির অতীত । এই সকল পরিবর্তনগুলিই এই ,w)