পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায় । vరిd প্রত্যক্ষ করিতে পারেন না ; আপনারা কেবল তাহারা যে আছে, ইহা অবগত হইতে পারেন। অহংতত্ত্ব হইতে এই তন্মাত্রাগুলির উৎপত্তি হয়, আর ঐ তন্মাত্রা বা সূক্ষ ভূত হইতে স্থল ভূতের অর্থাৎ বায়ু, জল, পৃথিবী এবং অন্যান্য যাহা কিছু আমরা দেখিতে পাই বা অনুভব করি, তাহদের উৎপত্তি হয় । আমি এই বিষয়টি আপনাদের মনে দৃঢ় ভাবে মুদ্রিত করিয়া দিতে ইচ্ছা করি। এটা ধারণ করা বড় কঠিন, কারণ, পাশ্চাত্য দেশে মন ও ভূত সম্বন্ধে অদ্ভুত অদ্ভুত ধারণা আছে। মস্তিষ্ক হইতে ঐ সকল সংস্কার দূর করা বড়ই কঠিন। বাল্যকালে পাশ্চাত্য দর্শনে শিক্ষিত হওয়ায়আমাকেও এই তত্ত্ব বুঝিতে ভয়ানক কষ্ট পাইতে হইয়াছিল। এই সমুদয়গুলিই জগতের অন্তর্গত। ভাবিয়া দেখুন, প্রথমাবস্থায় এক, সর্ববব্যাপী, অখণ্ড, অবিভক্ত জড়রাশি রহিয়াছে। যেমন দুগ্ধ পরিণাম প্রাপ্ত হইয়া দধি হয়, তদ্রুপ উহা মহৎ নামক অস্য এক পদার্থে পরিণত হয়—ঐ মহৎ এক অবস্থায়ঞ্চ বুদ্ধিতত্ত্বরূপে অবস্থান করে, অন্য অবস্থায় উহা অহংতত্ত্বরূপে পরিণত হয় । উহা সেই একই বস্তু, কেবল অপেক্ষকৃত স্থূলতর আকারে পরিণত হইয়া অহংতত্ত্ব নাম ধারণ করিয়াছে । এইরূপে সমগ্র ব্রহ্মাণ্ড যেন স্তরে স্তরে বিরচিত। প্রথমে অব্যক্ত প্রকৃতি, উহা সৰ্ব্বব্যাপী বুদ্ধিতত্ত্বে বা মহতে পরিণত হয়, অবস্থাবিশেষ। প্রকৃত পক্ষে কিন্তু তাহা নহে ; বাহাকে মহৎ বঙ্গ। যায়, তাহাই বুদ্ধিতত্ব । , . .