পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wo ধৰ্ম্মবিজ্ঞান । তাহা আবার সর্ববব্যাপী অহংতত্ত্ব বা অহংকারে এবং তাহা পরিণাম প্রাপ্ত হইয়া সৰ্ব্বব্যাপী ইন্দ্রিয়গ্রাহ ভূতে • পরিণত হয়। সেই ভূত, সমষ্টি ইন্দ্রিয় বা কেন্দ্রসমূহে এবং সমষ্টি সূক্ষ পরমাণু সমূহে পরিণত হয়। পরে এইগুলি মিলিত হইয়া এই স্থূল জগৎপ্রপঞ্চের উৎপত্তি। সাংখ্যমতে ইহাই স্মৃষ্টির ক্রম আর বৃহৎ ব্ৰহ্মাণ্ডের মধ্যে যাহা আছে, তাহা সমষ্টি বা ক্ষুদ্র ব্রহ্মাণ্ডেও অবশ্য থাকিবে । ব্যষ্টিস্বরূপ একটা মানুষের কথা ধরুন। প্রথমতঃ, তাহার _ভিতর সেই সাম্যাবস্থাপন্ন প্রকৃতির অংশ রহিয়াছে। সেই জড়স্বরূপা প্রকৃতি র্তাহার ভিতর মহৎ রূপে পরিণত হইয়াছে—সেই মহৎ অর্থাৎ সৰ্ব্বব্যাপী বুদ্ধিতত্ত্বের এক অংশ তাহার ভিতর রহিয়াছে। আর সেই সৰ্ব্বব্যাপী বুদ্ধিতত্ত্বের ক্ষুদ্র অংশটী তাহার ভিতর অহংতত্ত্বে বা অহংকারে পরিণত হইয়াছে—উহা সেই সৰ্ব্বব্যাপী অহংতত্ত্বেরই ক্ষুদ্র অংশ মাত্র। এই অহঙ্কার আবার ইন্দ্রিয় ও তন্মাত্রায় পরিণত হইয়াছে। তন্মাত্রাগুলি আবার • পূৰ্ব্বে সাংখ্যমতানুযায়ী যে স্থষ্টির ক্রম বর্ণিত হইয়াছে, তাহার সহিত এই স্থানে স্বামীজির কিঞ্চিৎ বিরোধ আপাততঃ বোধ হইতে পারে। পূৰ্ব্বে বুঝান হইয়াছে, অহংতত্ত্ব হইতে ইঞ্জিয় ও তন্মাত্রার উৎপত্তি হয়। এখানে আবার উহাদের মধ্যে ‘ইন্দ্রিয়গ্রাহ ভূতের’ কথা বলিতেছেন। এটা কি কোন নুতন তত্ত্ব ? আমার বোধ হয়, অহংতত্ব.একটা অতি স্বল্প পদাৰ্থ বলিয়া তাহা হইতে ইঞ্জিয় ও তন্মাত্রার উৎপত্তি সহজে বুঝাইবার জন্ত স্বামীজি এইরূপ ‘ইজিয়গ্ৰাহ ভূতের कञ्जन कब्लिग्नtुझ्न । ..! .