পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায়। \రిసి যাহা হউক, এক্ষণে পূর্বপ্রসঙ্গের অনুবৃত্তি করা যাউক । আমরা ক্ষুদ্র ব্রহ্মাণ্ড মানবের তত্ত্ব আলোচনা করিতেছিলাম । আমরা দেখিয়াছি, বৃহৎ ব্রহ্মাণ্ড যে নিয়মে নিৰ্ম্মিত, ক্ষুদ্র ব্রহ্মাণ্ডও তদ্রুপ। প্রথমে অবিভক্ত বা সম্পূর্ণ সাম্যাবস্থাপন্ন প্রকৃতি । তার পর উহা বৈষম্য প্রাপ্ত হইলে কাৰ্য্য আরস্ত হয়, আর এই কাৰ্য্যের ফলে যে প্রথম পরিণাম হয়, তাহা মহৎ অর্থাৎ বুদ্ধি। এক্ষণে আপনারা দেখিতেছেন, মামুষের মধ্যে যে এই বুদ্ধি রহিয়াছে, তাহা সৰ্ব্বব্যাপী বুদ্ধিতত্ত্ব বা মহতের ক্ষুদ্র অংশস্বরূপ। উহ হইতে অহং-জ্ঞানের উদ্ভব, তাহা হইতে অনুভবাত্মক ও গত্যাত্মক স্বায়ুসকল, এবং সূক্ষ পরমাণু বা তন্মাত্রা। ঐ তন্মাত্রা হইতেই স্থল । দেহ বিরচিত হয় । আমি এখানে বলিতে চাই, শোপেনহাওয়ারের দর্শন ও বেদান্তে একট প্রভেদ আছে। শোপেনহাওয়ার বলেন, বাসনা বা ইচ্ছা সমুদয়ের কারণ। আমাদের এই ব্যক্তভাবাপন্ন হইবার কারণ, প্রাণ ধারণের ইচ্ছা, কিন্তু অদ্বৈতবাদীরা ইহা অস্বীকার করেন । র্তাহারা বলেন, মহত্তত্ত্বই ইহার কারণ। এমন একটাও ইচ্ছা হইতে পারে না, যাহা প্রতিক্রিয়াস্বরূপ নহে । ইচ্ছার অতীত অনেক বস্তু রহিয়াছে । উহা অহং হইতে গঠিত একটা জিনিষ, অহং আবার তদপেক্ষা উচ্চতর বস্তু অর্থাৎ মহত্তত্ত্ব হইতে উৎপন্ন এবং তাহা আবার অব্যক্ত প্রকৃতির বিকারস্বরূপ। মামুষের মধ্যে এই যে মহৎ বা বুদ্ধিতত্ত্ব রহিয়াছে, তাহার স্বরূপ উত্তমরূপে বুঝা বিশেষ প্রয়োজন। এই মহত্তৰই আমর।