পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 o ধৰ্ম্মবিজ্ঞান | যাহাকে অহং বলি, তাহাতে পরিণত হয় আর এই মহত্তত্ত্বই সেই সমুদয় পরিবর্তনের কারণ, যাহাদের ফলে এই শরীর নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। মহত্তত্ত্বের ভিতর জ্ঞানের নিম্নভূমি, সাধারণ জ্ঞানের অবস্থা ও জ্ঞানাতীত অবস্থা এই সমুদয়গুলিই রহিয়াছে। এই তিনটা অবস্থা কি ? জ্ঞানের নিম্নভূমি আমরা পশুগণে দেখিয়। থাকি এবং উহাকে সহজাত জ্ঞান (Instinct) বলিয়া থাকি । ইহা প্রায় অভ্রান্ত, তবে উহা দ্বারা জ্ঞাতব্য বিষয়ের সীমা বড় অল্প। সহজাত জ্ঞানে প্রায় কখনই ভুল হয় না। একটী পশু ঐ সহজাতজ্ঞানপ্রভাবে কোন শস্তটা আহাৰ্য, কোনটা বা বিষাক্ত, তাহা অনায়াসে বুঝিতে পারে, কিন্তু ঐ সহজাত জ্ঞান দু একটা সামান্য বিষয়ে সীমবদ্ধমাত্র, উহা যন্ত্রবৎ কাৰ্য্য করিয়া থাকে । তার পর আমাদের সাধারণ জ্ঞান—উহা অপেক্ষাকৃত উচ্চতর অবস্থা । এই আমাদের সাধারণ জ্ঞান ভ্রান্তিময়, উহা পদে পদে ভ্ৰমে পতিত হয়, কিন্তু উহার গতি এরূপ মৃত্যু হইলেও উহার পরিসর অনেকদূর । ইহাকেই আপনার যুক্তি বা বিচারশক্তি বলিয়া থাকেন। সহজাত জ্ঞান অপেক্ষা উহার প্রসার অধিক দূর বটে, কিন্তু সহজাত জ্ঞান অপেক্ষ যুক্তিবিচারে অধিক ভ্রমের আশঙ্কা । ইহা অপেক্ষা মনের আর এক উচ্চতর অবস্থা রহিয়াছে, জ্ঞানাতীত অবস্থা—ঐ অবস্থায় কেবল যোগীদেরই অর্থাৎ র্যাহার চেষ্টা করিয়া ঐ অবস্থা লাভ করিয়াছেন তাহাদেরই অধিকার । উহা সহজাত জ্ঞানের ন্যায় অভ্রান্ত, আবার যুক্তিবিচার হইতেও উহার 'অধিক প্রসার । উহা সর্বের্বাচ্চ অবস্থা । আমাদের ইহা স্মরণ