পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

AMAMAMAMAMMAMAeeAeMeeeeeMeAeAMAeAMAMMAMAMAMAeeeAeeSeeeeSeeeeAeeAAA AAAASAAAA কারণ, জ্ঞান তাহার মানসভূমির একাংশব্যাপীমাত্র। সমগ্র ব্ৰহ্মাণ্ড সম্বন্ধেও তাঁহাই। যুক্তিবিচার দ্বারা উহার একাংশমাত্র জানাই সস্তব, কিন্তু জগৎ প্রপঞ্চ বলিতে জ্ঞানের নিম্নভূমি, সাধারণ জ্ঞানভূমি, জ্ঞানাতীত ভূমি, ব্যষ্টিমহৎ, সমষ্টিমহৎ এবং তাহাদের পরবর্তী সমুদয় বিকার—এই সকলগুলিকেই বুঝাইয়া থাকে আর এইগুলি সাধারণ জ্ঞানের অতীত । কিসে প্রকৃতিকে পরিণাম প্রাপ্ত করায় ? আমরা এ পর্য্যন্ত দেখিয়াছি, প্রাকৃতিক সকল বস্তু, এমন কি, প্রকৃতি স্বয়ংও জড় বা অচেতন । উহার নিয়মাধীন হইয়া কাৰ্য্য করিতেছে—সমুদয়ই বিভিন্ন দ্রব্যের মিশ্রণস্বরূপ এবং অচেতন । মন, মহত্তত্ত্ব, নিশ্চয়াত্মিক বৃত্তি—এ সবই অচেতন। কিন্তু তাহারা সকলেই এমন এক পুরুষের চিৎ বা চৈতন্যের প্রতিবিম্বে প্রতিবিম্বিত হইতেছে, যিনি এই সকলগুলিরই অতীত, আর সাংখ্যমতাবলম্বিগণ ইহাকেই পুরুষ নামে অভিহিত করিয়াছেন। এই পুরুষ জগতের মধ্যে –প্রকৃতির মধ্যে—এই যে সকল পরিণাম হইতেছে, তাহদের সাক্ষিস্বরূপ কারণ—অর্থাৎ এই পুরুষকে যদি সাৰ্ব্বজনীন অর্থে ধরা যায়, তবে তিনিই ব্ৰহ্মাণ্ডের ঈশ্বরঞ্চ ।

  • ইতিপূৰ্ব্বে মহত্তৰকে ঈশ্বর বলা হইয়াছে, এখানে আবার পুরুষের সাৰ্ব্বজনীন ভাবকে ঈশ্বর বলা হইল। এই দুইটী কথা আপাতবিরোধী বলিয়া বোধ হয়। এখানে এইটুকু বুঝিতে হইবে যে, পুরুস্থ মহত্তম্বৰূপ উপাধি পরিগ্রহ করিলেই তাহাকে ঈশ্বর বলা যায় । *-*.