পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তুতাঙ্ক আপ্যাঙ্ক । ( ----- مسسیسسی সাংখ্য ও অদ্বৈত । আমি প্রথমে আপনাদের নিকট যে সাংখ্য দর্শনের আলোচনা করিতেছিলাম, তাহার মোট কথাগুলি সংক্ষেপে বলিব । কারণ, এই বক্তৃতায় আমরা ইহার অসম্পূর্ণতা কোনগুলি, তাহ বাহির করিতে এবং বেদান্ত আসিয়া কিরূপে ঐ অসম্পূর্ণতাগুলি সম্পূ করিয়া দেন, তাহা বুঝিতে চাই। আপনাদের অবশ্যই স্মরণ আছে যে, সাংখ্য দর্শনের মতে প্রকৃতি হইতেই চিন্তা, বুদ্ধি, বিচার, রাগ, দ্বেষ, স্পর্শ, রস—এক কথায় সমুদয় বিকাশ হইতেছে । এই প্রকৃতি সত্ত্ব, রজঃ ও তমঃ নামক তিন প্রকার উপাদানে গঠিত। এগুলি গুণ নহে, জগতের উপাদান-কারণ—এইগুলি হইতেই জগৎ উৎপন্ন হইতেছে আর যুগপ্রারস্তে এগুলি সামঞ্জস্যভাবে বা সাম্যাবস্থায় থাকে। স্বষ্টি আরস্ত হইলেই এই সাম্যাবস্থা ভঙ্গ হয়, তখন এই দ্রব্যগুলি পরস্পর নানারূপে মিলিত হইয়া এই ব্ৰহ্মাণ্ড স্বষ্টি করে। ইহাদের প্রথম বিকাশকে ংখ্যেরা মহৎ (অর্থাৎ সর্বব্যাপী বুদ্ধি) বলেন। আর তাহ হইতে অহংজ্ঞানের উৎপত্তি হয় । অহংজ্ঞান হইতে মন অর্থাৎ, সৰ্ব্বব্যাপী মনস্তত্বের উদ্ভব । ঐ অহংজ্ঞান বা অহঙ্কার হইতেই জ্ঞান ও কৰ্ম্মেস্ট্রিয় এবং তন্মাত্র অর্থাৎ শব্দ, স্পর্শ, রস প্রভৃতির। সূক্ষ সূক্ষ পরমাণুর উৎপত্তি হয়। এই অহঙ্কার হইতেই: