পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায় । ©☾ সমুদয় সূক্ষ পরমাণুর উদ্ভব, আর ঐ সূক্ষম পরমাণুসমূহ হইতেই স্থল পরমাণুসমূহের উৎপত্তি হয়, যাহাকে আমরা জড় বলি। তন্মাত্রার (অর্থাৎ যে সকল পরমাণু দেখা যায় না বা যাহাদের পরিমাণ করা যায় না, ) পর স্থূল পরমাণু সকলের উৎপত্তি— যাহাদিগকে আমরা অনুভব ও ইন্দ্রিয়গোচর করিতে পারি। বুদ্ধি, অহঙ্কার ও মন এই ত্ৰিবিধ কাৰ্য্যসমন্বিত চিত্ত, প্রাণনামক শক্তিসমূহকে স্বষ্টি করিয়া উহাদিগকে পরিচালিত করিতেছে। এই প্রাণের সহিত শ্বাসপ্রশ্বাসের কোন সম্বন্ধ নাই, আপনাদের । ঐ ধারণ এখনই ছাড়িয়া দেওয়া উচিত । শ্বাসপ্রশ্বাস প্রাণ অর্থাৎ সৰ্ব্বব্যাপী শক্তির একটী কাৰ্য্য মাত্র। কিন্তু এখানে ‘প্রাণসমূহ অর্থে সেই স্বায়বীয় শক্তিসমূহ বুঝায়, যাহারা সমুদয় দেহটকে চালাইতেছে এবং চিন্তা ও দেহেরু নানাবিধ ক্রিয়ারূপে প্রকাশ পাইতেছে । শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি এই প্রাণসমূহের প্রধান ও প্রত্যক্ষতম প্রকাশ। যদি বায়ু দ্বারাই এই শ্বাসপ্রশ্বাসকার্ষ্য হইত, তবে মৃত ব্যক্তিও শ্বাসপ্রশ্বাসকার্য্য করিত। প্রাণই বায়ুর উপর কার্য্য করিতেছে, বায়ু প্রাণের উপর করিতেছে না। এই প্রাণসমূহ জীবনশক্তিস্বরূপ সমুদয় শরীরের উপর কার্য্য করিতেছে, উহারা আবার মন এবং ইন্দ্রিয়গণ (অর্থাৎ দুই প্রকার কেন্দ্র ) দ্বারা পরিচালিত হইতেছে। এ পৰ্য্যন্ত বেশ কথা । মনস্তত্ত্বের বিশ্লেষণ খুব স্পষ্ট ও পরিষ্কার, আর ভাবিয়া দেখুন, কত যুগ পূর্বে এই তত্ত্ব.আবিষ্কৃত হইয়াছে —ইহা জগতের মধ্যে প্রাচীনতম যুক্তিসিদ্ধ চিন্তxeণালী ।