পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায় । ¢ዓ AAAAAASAAAAASA SAAAAS AAAAA AAAA AAAA AA SASAS AAA AAS AAAAA AAAMeee S SeeS S eeS eeeeA AeS eMAAeeeAJeMAAeMAeeAeAMAAA AAAA SAAAAAMMMMAAA AAAA SeS eeMeeAeAAASAAAA তাল যেমন, মনসমষ্টিও তদ্রুপ, সমগ্র জগৎও সেইরূপ। স্বরূপতঃ উহাদের চৈতন্য নাই, কিন্তু উহাদের মধ্যে আমরা বিচারবুদ্ধি ও জ্ঞান দেখিতে পাই, অতএব উহাদের পশ্চাতে—সমগ্র প্রকৃতির পশ্চাতে—নিশ্চিত এমন কোন সত্তা আছে, যাহার আলোক উহার উপর পড়িয়া, মহৎ, অহংজ্ঞান ও এই সব নানাবস্তুরূপে প্রতীত হইতেছে। আর এই সন্তাকেই কপিল পুরুষ বা আত্মা বলেন, বেদান্তীরাও উহাকে আত্মা বলিয়া থাকেন। কপিলের মতে পুরুষ অমিশ্র পদার্থ—উহা যৌগিক পদার্থ নহে। উহাই এক মাত্র অজড় পদার্থ, আর সমুদয় প্রপঞ্চবিকারই জড়। পুরুষই একমাত্র জ্ঞাত। মনে করুন, আমি একটা বোর্ড দেখিতেছি। প্রথমে বাহিরের যন্ত্রগুলি মস্তিষ্ককেন্দ্রে (কপিলের মতে ইন্দ্রিয়ে ) ঐ বিষয়টকে লইয়া আসিবে ; উহা আবার ঐ কেন্দ্র হইতে মনে যাইয়া তাহার উপর আঘাত করিবে—মন উহাকে আবার অহংজ্ঞানরূপ অপর একটী পদার্থে আবৃত করিয়া মহৎ বা বুদ্ধির নিকট সমর্পণ করিবে । কিন্তু মহতের স্বয়ং কার্য্যের শক্তি নাই—উহার পশ্চাতে যে পুরুষ রহিয়াছেন, তিনিই প্রকৃত পক্ষে কৰ্ত্তা । এই গুলি সবই তাহার ভূত্যস্বরূপে বিষয়ের আঘাত তাহার নিকট আনিয়া দেয়, তিনুি তখন আদেশ দিলে মহৎ প্রতিঘাত বা প্রতিক্রিয়া করে । পুরুষই ভোক্তা, বোদ্ধা, যথার্থ সত্তা, সিংহাসনোপবিষ্ট রাজা, মানবের আত্মা জার তিনি অজড়। যেহেতু তিনি অজড়, সেহেতু তিনি "গুই অনন্ত, তাহার কোনরূপ সীমা থাকিতে পারে না । স্বতরাং ঐ