○rb" ধৰ্ম্মবিজ্ঞান । পুরুষগণের প্রত্যেকেই সর্বব্যাপী, তবে কেবল সূক্ষ ও স্থল জড় পদার্থের মধ্য দিয়া কাৰ্য্য করিতে পারেন। মন, অহংজ্ঞান, মস্তিষ্ককেন্দ্র বা ইন্দ্রিয়গণ এবং প্রাণ এই কয়েকটা লইয়া সূক্ষম শরীর অথবা খ্ৰীষ্টীয় দর্শনে যাহাকে মানবের আধ্যাত্মিক দেহ বলে, তাহা গঠিত। এই দেহেরই পুরস্কার বা দণ্ড হয়, ইহাই বিভিন্ন স্বগে যাইয়া থাকে, ইহারই বারবার জন্ম হয়। কারণ, আমরা প্রথম হইতেই দেখিয়া আসিয়াছি, পুরুষ বা আত্মার পক্ষে আসা যাওয়া অসম্ভব । গতি অর্থে যাওয়া আসা, আর যাহা একস্থান হইতে অপর স্থানে গমন করে, তাহা কখন সৰ্ব্বব্যাপী হইতে পারে না। এই লিঙ্গশরীর বা সূক্ষম শরীরই আসে যায়। এই পৰ্য্যন্ত আমরা কপিলের দর্শন হইতে দেখিলাম যে, আত্মা অনন্ত আর একমাত্র উহাই প্রকৃতির পরিণাম নহে। একমাত্র উহাই প্রকৃতির বাহিরে, কিন্তু উহা প্রকৃতিতে বদ্ধ হইয়াছে বলিয়া প্রতীতি হইতেছে। প্রকৃতি পুরুষকে বেড়িয়া আছে, সেই জন্য পুরুষ আপনাকে প্রকৃতির সঙ্গে মিশাইয়া ফেলিয়াছেন । পুরুষ ভাবিতেছেন, “আমি লিঙ্গশরীর’ ‘আমি স্থূল শরীর', আর সেই জস্যই তিনি সুখদুঃখ ভোগ করিতেছেন । কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সুখদুঃখ আত্মার নহে, উহারা লিঙ্গশরীরের এবং স্কুল শরীরের । যখন কতকগুলি স্বায়ু আঘাতপ্রাপ্ত হয়, আমরা কষ্ট অনুভব করিয়া থাকি। আমরা উহ। তৎক্ষণাৎ উপলব্ধি করিয়া থাকি। যদি আমার ఫ్రో স্বায়ুগুলি নষ্ট হয়, তবে আমরা অঙ্গলি কাটিয়া ফেলিলেও উহা বোধ করিব না। অতএব মুখদুঃখ স্বায়ুকেন্দ্রসমূহের । মনে
পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৬৬
অবয়ব