পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Woo ধৰ্ম্মবিজ্ঞান । AeSeSeeAeAMS AM AeeAAA AAAAS AAAA S AAAAAMS eAeeSAMAeeMMeAAA S SAMSAMASAeeAeeAMAeeAS SSAS SSAS SSAS SSAS E SeA AeeAeeM eMeeSeeAeAMAeeAMAeeA AeeAeAeeAeSEA AeeAeeMS তার পর সাংখ্যেরা আরো বলেন যে, প্রকৃতির এই সকল বিকার আত্মীর জন্ত, উহার বিভিন্ন উপাদানের সম্মিলনাদি সমস্তই উহা হইতে স্বতন্ত্র অপর কাহারও জন্য । সুতরাং এই যে নানাবিধ মিশ্রণকে আমরা প্রকৃতি বা জগৎপ্ৰপঞ্চ বলি—এই যে আমাদের ভিতরে এবং চতুর্দিকে ক্রমাগত পরিবর্তনপরম্পরা হইতেছে, তাহা আত্মার ভোগ ও অপবর্গ বা মুক্তির জন্য । আত্মা সৰ্ব্বনিম্ন অবস্থা হইতে সর্বের্বাচ্চ অবস্থা পর্য্যন্ত স্বয়ং ভোগ করিয়া তাহা হইতে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করিতে পারেন, আর যখন আত্মা এই অভিজ্ঞ তা লাভ করেন, তখন তিনি বুঝিতে পারেন যে, তিনি কোন কালেই প্রকৃতিতে বদ্ধ ছিলেন না, তিনি সৰ্ব্বদাই উহা হইতে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র ছিলেন—তখন তিনি আরো দেখিতে পান যে, তিনি অবিনাশী, তাহার আস যাওয়া কিছুই নাই, স্বর্গে যাওয়া আবার এখানে আসিয়া জন্মান—সমুদয়ই প্রকৃতির— র্তাহার নিজের নহে। তখনই আত্মা মুক্ত হইয়া যান। এইরূপে সমুদয় প্রকৃতি আত্মার ভোগ বা অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্য কাৰ্য্য করিয়া যাইতেছে, আর আত্মা, সেই চরম লক্ষ্যে যাইবার জন্য এই অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করিতেছেন। আর মুক্তিই এই চরম লক্ষ্য। সাংখ্যদর্শনের মতে এই আত্মার সংখ্যা বহু। অনন্তসংখ্যক আত্মা রহিয়াছেন। উহার আর একটা সিদ্ধান্ত এই যে, ঈশ্বর নাই, জগতের স্বষ্টিকৰ্ত্ত। কেহ নাই। সাংখ্যেরা বলেন, প্রকৃতিই_যখন এই সকল বিভিন্ন রূপ স্বজন করিতে সমর্থ তখন ঈশ্বর খর্কিার করিবার প্রয়োজন নাই ।