পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায় । b-> আপনাকে প্রতিবিম্বিত দেখিল । অতএব বিষয় ও বিষয়ী উভয়স্বরূপ সেই পুরুযের সর্ববশ্রেষ্ঠ প্রতিবিম্ব—‘পূর্ণ মানব’ ! আপনার এখন দেখিতে পাইলেন, মানব স্বভাববশতঃই কেন সকল বস্তুর উপাসনা করিয়া থাকে, আর সকল দেশেই পূর্ণ-মানবগণ কেন স্বভাবতঃই ঈশ্বররূপে পূজিত হইয়া থাকেন। আপনারা মুখে যাহাই বলুন না কেন,ই হাদের উপাসনা অবশ্যই করিতে হইবে । এই জন্যই লোকে খ্ৰীষ্ট বা বুদ্ধাদি অবতারগণের উপাসনা করিয়া থাকে। র্তাহারা অনন্ত আত্মার সর্ববশ্রেষ্ঠ প্রকাশস্বরূপ । আপনি, আমি, ঈশ্বর সম্বন্ধে যে কোন ধারণা করি ন৷ কেন, ইহারা তাহা হইতেও উচ্চতর। একজন পূর্ণ-মানব এই সকল ধারণা হইতে শ্রেষ্ঠতর। র্তাহাতেই জগৎ রূপ বৃত্ত সম্পূর্ণ হয়—বিষয় ও বিষয়ী এক হইয়া যায়। র্তাহার সকল ভ্রম ও মোহ চলিয়া যায়। তৎপরিবর্তে র্তাহার এই অনুভূতি হয় যে, তিনি চিরকালই সেই পূর্ণ পুরুষ রহিয়াছেন। তবে এই বন্ধন কিরূপে আসিল ? এই পূর্ণ পুরুষের পক্ষে অবনত হইয়া অপূর্ণ-স্বভাব হওয়া কিরূপে সম্ভব হইল ? মুক্তের পক্ষে বদ্ধ হওয়া কিরূপে সম্ভব হইল ? অদ্বৈতবাদী বলেন, তিনি কোন কালেই বদ্ধ হন নাই, তিনি নিত্যমুক্ত । আকাশে নানাবণের নানা মেঘ আসিতেছে । উহার মুহূৰ্ত্তকাল তথায় থাকিয়া চলিয়া যাইতেছে। কিন্তু সেই এক নীল আকাশ বরাবর সমান ভাবে রছিয়াছে। " আকাশের কুখন পরিশ বৰ্ত্তন হয়.না, মেঘেরই কেবল পরিবর্তন হইতেছে l এইরূপ আপনারাও পূর্ব হইতেই পূর্ণ-স্বভাব, अनछर्कल ধরিয়া পুর্ণ। و\