পাতা:ধর্ম্মসাধন.djvu/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪ ধৰ্ম্মসাধন। প্রকার অর্থাৎ আমি যেন সম্পূর্ণ অধীনের ন্যায় কাৰ্য্য করি, আমার স্বাধীনতায় ও তোমার অধীমতায় যেন কোন প্রভো না থাকে। কেহ স্বাধীন হইয়া-কেহ অধীন হইয়া সাধন করিতেছেন প্রথমোক্ত ব্যক্তি বলিতে পারেন অমিএই অবধি ধৰ্ম্মানুষ্ঠান করিব, আর করিব না। দ্বিতীয় অবাধ্য হইতে পারেন না, চিরকাল বলেন “আমাকে তোমার অনুগত কর।” । স্বাধীন আত্মার প্রেম আদান প্রদান করিলে যেরূপ সুখ হয়, অধীনের নিকট সেরূপ নয়। স্বর্ঘ্য অবিশ্রান্ত পরের কাজ করে,অথচ একবার হাসে না। পশুর অন্ধবৎ ঈশ্বরের নিয়মাধীন হইয়। চলে, কখন ধৰ্ম্মের মুখ পায় না। আমরা পরের কাজ করি, কিন্তু স্বাধীন ভাবে তাহা করিয়া পুণ্যের ফল ভোগ করি। ঈশ্বর আমাদিগকে জন্তু বা অধীনপ্রকৃতি করিয়া স্বজন করেন নাই। ভঁাহার ইচ্ছা ও আজ্ঞা এই ‘স্বাধীন হইয়া আমার কাছে আইস। নিজের ছিল, তোমাকে দিলাম” এই ভাবে যাহা দিব, তিনি তাহ গ্রহণ করিবেন। জড় জগৎ তাহা দিতে পারে না । প্র । প্রীতি, শ্রদ্ধা ও ভক্তিতে প্রভেদ কি ? উ। সামান্ত ভাবে দেখিলে এ তিনই এক মূল হইতে উৎপন্ন। ঈশ্বরের প্রেম মনুষ্য হৃদয়ে প্রতিবিম্বিত হইয়। নান৷ ভাবে প্রধাবিত হয়। একই ভাব ভিন্ন ভিন্ন নাম ধরিয়া ভিন্ন ভিন্ন সম্বন্ধের দিকে যায় । সুক্ষরূপে দেখিলে ইহাদের এক একটী বিশেষ কাৰ্য্য উপলব্ধি হয়। প্রীতি সহজ ভাষায় ভালবাসা । আমরা ঈশ্বর ও ভাই ভগিনী কে প্রীতি করি, স্বাহীদের এমন গুণ আছে যে স্বভাবতঃ ভালবাসা আকর্ষণ