రిస్త్రి ধৰ্ম্মসাধন । খুজিয়া ভাৰ উদ্দীপন করা। যদি প্রেম সাধন করিতে হয়, ১-ঈশ্বরের প্রেমের দিক নয়নের সম্মুখে রাখিতে হইবে। . ২-কার্ষ্যের সময়েও যতদূর পারা যায়, সকলকে ঈশ্বরের সন্তান বলিয়া ভাল বাসিতে হুইবে । যে বস্তু যে ভাব উদ্দীপন করে, সৰ্ব্বদ তাহ সম্মুখে রাখিলে বিপরীত ভাব সহজে বিনষ্ট হইয়। যায় । যাহাকে দেখিলে রাগ হয়, তাহাকে যদি ঈশ্বরের সন্তান বলিয়া ভাবি, তাহার গুণ ও ভালদিক সন্মুখে রাখি, রাগের পরিবর্তে তাহার প্রতি ভালবাসা আসিয়া পড়ে । , ঈশ্বরের প্রেমের আবির্ভাবে নয়নকে অনুরঞ্জিত করিয়া তাহাকে পিতা বলিয়া এবং মনুষ্য সকলকে ভাই ভগিনী বলিয়া দেখিতে অভ্যাস করাই প্রেমসাধনের উপায় । প্র। কখন কখন আত্মা নীরস হয় কেন ? উ। জোয়ার ভাটায় যেমন জল বাড়ে ও কমে, আত্মার প্রেম সরোবর সেইরূপ কখন স্ফীত ও কখন সঙ্কুচিত হয় । জল স্ফীত হইবার কারণ চন্দ্রের অাকর্ষণ । অগত্মার প্রেমবৃদ্ধির কারণ প্রেমচন্দ্রের আকর্ষণ । প্রেমময় ঈশ্বর যখন নিকটস্থ হন, তখন অীতার প্রেম সরোবরের জল উথলিয়। জগৎকে অভিষিক্ত করে । প্রেমচন্দ্র দূরে গিয়া পড়িলে আর । সেরূপ হয় না, ক্রমে অনেক দূরের জল পৰ্য্যন্ত শুকাইয়া যায়। আর একদিকে উত্তপ্ত সংসারের প্রভাবে প্রেম জল শীঘ্র শুষ্ক হয়। উপাসনা নীরস হইলে আমরা প্রেমচন্দ্রকে হৃদয়ে ধারণ করি না, সংসারের অনলের কাছে হৃদয়কে লইয়া যাই। : এই নীরস ভাবের পরাকাষ্ঠা হয়, যখন নিরাশা মাসিয়া ് আত্মাকে অধিকার করে, যখন প্রেমচন্দ্র উঠিল না, তখন -
পাতা:ধর্ম্মসাধন.djvu/১২০
অবয়ব