বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ধর্ম্মসাধন.djvu/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রিপুদমন ও চরিত্র সংশোধন। ৬১ সত্য, ধৰ্ম্ম, দ্যায় এ সকলের বিরুদ্ধাচারী হইলে রাগ প্রকাশ পূৰ্ব্বক শাসন করা কৰ্ত্তব্য, কিন্তু নিজের বিরুদ্ধাচরণ করিলে মৃত্যু পৰ্য্যন্ত স্বীকার করিয়া ক্ষমা করা যাইতে পারে । প্র । ক্ষমা দেখাইতে গিয়া যদি প্রাণ যায়, সে কি ভাল ? উ। ক্রাইষ্টের ক্ষমা আমাদিগের আদর্শ। যাহারা তাহার প্রাণ বিনাশ করির্তে আসিল, তাহাদিগের জন্য ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করিলেন “পিতা ! ইহাদিগকে ক্ষমা কর, কারণ ইহার কি করিতেছে জানে না।" ঈশ্বরের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত । আমরা অত্যাচার করিতেছি, তিনি অনন্ত দয়াগুণে আমাদিগকে ক্ষমা করিতেছেন । কে বলিবে, তাহার অত ক্ষমা ভাল নয় ? প্র । অপবিত্র রাগের লক্ষণ কি ? উ। যাহার উপর রাগ হইতেছে তাহার কষ্ট দেখিলে সুখ হয় এবং মুখ দেখিলে কষ্ট হয় । তাহার ধৰ্ম্মলজঘনজনিত অনুতাপ দেখিলে যে সুখ झ्य তাহী নহে, কিন্তু যে রূপে হউক তাহাকে যত বিপন্ন ও নিপীড়িত দেখা যায়, মনোমধ্যে ততই আনন্দের সঞ্চার হইয় থাকে। প্র । ব্রাহ্মধৰ্ম্মের বিরুদ্ধে কেহ কিছু রাগিয়া বলিলে সে সময় প্রতিবাদ করা উচিত কি না ? --- - উ। অনেক সময় না করাই ভাল। শূকরের নিকট মুক্তt ছড়াইবার নিযেধ আছে । রাগের মুখে প্রতিবাদ না করা হয়, ইহা একটী নিয়ম বলিয়া লিখিয়া রাখা উচিত। রাগের সময় প্রতিবন্ধকতা করিলে কেবল যে রাগ বাড়ে তাহা নয়, হিংসা রৈরনির্বাতন স্পৃহ প্রভৃতি কুভাবও উত্তেজিত হইয়া থাকে। ويک\