বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ধর্ম্মসাধন.djvu/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s - --سےے ؟ হইতে পারে না । ঈশ্বরের দর্শনই যদি না পাইলাম, তবে তাহার গুণ সকল কিরূপে দর্শন করিব ? কিন্তু বহির্বিষয়ে আমাদিগের জীবন যেরূপ ব্যাপৃত রহিয়াছে, তাহাতে ঈশ্বরদর্শন সহজ সাধন নহে। আমরা ঈশ্বরকে সম্পূর্ণরূপে বিস্তৃত হইয়া থাকিলে সেই ঘোর বিস্তৃতি দূর করিবার নিমিত্ত আমাদিগের প্রথম চেষ্টা চাই। প্রত্যেকের ভাবিয়া দেখা উচিত প্রতিদি ঈশ্বরকে কতবার স্মরণ করিয়া থাকি। কেহ হয় ত একবার কেহ দুইবার, কেহ চারি বার স্মরণ করেন বলিবেন। কিন্তু সেই স্মরণটা ঠিক্‌ বিশ্বাসপূর্বক হয় কি না? যখন এক খানি পুস্তক দেখি, তখন তাহার অস্তিত্বে নিঃসংশয় হইয় আধা ঘণ্টাকাল তাহার প্রতি তাকাইয়া থাকিতে পারি। ঈশ্বরের প্রতি কি সেরূপ নিঃসংশয় বিশ্বাস হয় ? জড়পদার্থ দর্শনে যেরূপ সাধন, ঈশ্বর দর্শনেও ঠিক সেইরূপ সাধন চাই। ঈশ্বরকে দেখিতে হইলে অন্ততঃ কিছুক্ষণ নিঃসংশয়চিত্তে তাহার প্রতি তাকাইতে হইবে। তিনি আছেন, নিকটে, সম্মুখে—শরীর অপেক্ষাও নিকটে জীবনের জীবন হইয়া রহিয়াছেন, এ প্রকা নিঃসংশয়ে তাহার অস্তিত্ব অনুভব করা আবশ্যক। । . ঈশ্বরকে স্মরণটুকরিবার অভ্যাস হইলে সেই স্মরণ যাহাতে স্থায়ী হয়, তাহার চেষ্টা করা কর্তব্য। প্রথমে বিদ্যুতের ন্যায় তাহার প্রকাশ ; ক্রমশঃ ২ মিনিট, ৪ মিনিট, ১০ মিনিট, আরো কতক্ষণ র্তাহাকে হৃদয়ে ধরিয়া রাখিতে পারি, তাহার অভ্যাস করিতে হয়। কোন কাৰ্য্য আরম্ভের পূৰ্ব্বে র্তাহাকে স্মরণ করি । লাম, পরে সেই কাৰ্য্য করিবার সঙ্গে সঙ্গে কতক্ষণ র্তাহাকে i