পাতা:ধর্ম্মসাধন.djvu/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>ミ ধৰ্ম্মসাধন । আত্মাকে আক্রমণ করিতে পারে না। পাপ যত কেন গুরুতর " হউক না, হৃদয়ে যদি আশা ও বিশ্বাস থাকে, তাহ অচিরে বিদূরিত হইতে পারে ; তাহার পক্ষে তদ্বিষয়ে নিরাশা নাই। যত বিশ্বাসের বল দৃঢ়, ততই নিরাশার বল ক্ষীণ। কিন্তু । যে হৃদয়ের বিশ্বাস ভূমিতে অল্পমাত্রও ছিদ্র থাকে, তাহ ধরিয়া কেবল দুই একটা পাপ মাইসে এরূপ নয়, প্রত্যুত নিরাশা শাখা পল্লব বিনাশ করে, কিন্তু নিরাশ মূল পৰ্য্যন্ত ক্ষয় করিয়া দেয়। নিরাশ পাপের বিষময় ফল, আত্মার মহাব্যাধি। একেত পাপ আসিয়া রিপুর জালায় মনুষ্যকে অস্থির করে, তাহাতে সে পাপকে দমন করিতে চেষ্টা করিয়াও পারে না। যেমন,—যাহার ক্রোধ-রিপু প্রবল, সে ১০ । ১৫ বার চেষ্টা করিয়া পরিশেষে নিরাশ হয়। কিন্তু মনুষ্যের নিরাশা এখানেই থামে না, ক্রমে আত্মার সকল বিশ্বাসের মূল ধ্বংস করিয়া নাস্তিকতা আনয়ন করে। চরিত্রদোষ হইতে নিরাশ অনেকের হয়। তাহারা অবিশ্বাসী হৃদয়ে প্রার্থনা করে, ফল প্রাপ্ত হয় না । অনেক দিনের পর প্রার্থনার উত্তর এরূপে প্রাপ্ত হয়, যে সন্দেহ আইসে ; তাহা শূন্ত ও কল্পনা বলিয়া বোধ হয়। অবশেষে, প্রার্থনা করা বৃথা ও নিষ্ফল তাতারা এই সিদ্ধান্ত করে। তখন তাহদের হৃদয়ে নিরাশার সম্পূর্ণ প্রভুত্ব হয়। এক দিকে ঘোর পাপ ব্যাধি, অপর দিকে প্রার্থনার ফলে নিরাশা— ইহা অপেক্ষ আত্মার দুরবস্থা আর কি হইতে পারে ? ১০৭ ব্রান্ধের মধ্যে ১০টর পতনের অন্য কারণ ; কিন্তু অবশিষ্ট্রের i