পাতা:ধর্ম্মসাধন.djvu/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মসাধন । > A প্রত্যেকে উপাসনাতে ইহার পরীক্ষা দেখিতে পান। কতদিন উপাসনা করিয়া শুস্কভাবে ফিরিয়া আসিতে হয়, আবার এক এক দিন তাহা এমন মধুর হয় যে, আর তাহ ছাড়িয়া কোথায় যাইতে ইচ্ছা করে না । এই ভাবটী যে কি, তাহ বলিবার যে নাই, কিন্তু ইহাকেই আমরা যথার্থ তৃপ্তি ও পরম । শান্তি বলিয়া থাকি। ইহা একটা অতি নিগূঢ় ভাব। ইহা হৃদয়ে থাকিলে এক ব্যক্তি অতি সামান্ত সাংসারিক কাৰ্য্য করিয়াও তৃপ্তি ও শান্তি পান, ইহা না থাকিলে এক ব্যক্তি প্রচারক হইয়াও বৃথা জীবন ক্ষেপণ করেন। যে পরিমাণে এই ভাব, সেই পরিমাণে ধৰ্ম্মজীবন সরস থাকে ও উন্নত হয় এবং অন্তের সহিতও প্রেমভাবে সম্মিলিত হওয়া যায়। ধৰ্ম্মের এই সরস ভাব না থাকিলে উৎসাহ, সত্যবাদিত ও সহস্ৰ সাধুকাৰ্য্যও নিষ্ফল হইয়া যায়। একটা বাটী গাথিবীর জন্য ইষ্টক, চূর্ণ ও বালি থাকিলেই হয় না, রস আবশুক করে। রস না থাকিলে ধৰ্ম্মগৃহেরও জমাট গাথনি হয় না। আমরা বলি, আমরা এতকাল একত্র হইয়াছি, এত চেষ্টা করিতেছি, তথাপি আমাদিগের মধ্যে ভ্রাতৃভাব হয় না। দুই খানি শুষ্ক ইষ্টক শত বৎসর একত্র রাখিলেও কি জমাট হয় ? কিন্তু মধ্যে রসাত্ত দ্রব্য রাখ, উভয়ের যোগ অকাট্য হইবে । বিভিন্নপ্রকৃতি দুই মনুষ্যের মধ্যে যোগ আপাততঃ অনেক কারণে অসম্ভব বোধ হয়, কিন্তু প্রীতিরস সঞ্চারিত হইলে তাহাদের পক্ষে বিচ্ছিন্ন হওয়াও সেইরূপ অসম্ভব। ঈশ্বরবিষয়েও তদ্রপ। তিনি নিষ্কলঙ্ক, আমরা পাপী, এই বিভিন্ন প্রকৃতি কিরূপে মিলিত হইবে ? কিন্তু প্রীতিরস থাকিলে