পাতা:ধর্ম্মসাধন.djvu/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মসাধন । ২৩ শ্বাস করিতে পারি না। জীবনের উদেশু সাধন প্রায় কঠিন ব্যাপার হইয়া থাকে, এমন কি, তাহার জন্য প্রাণ দিতে হয়। কিন্তু ঈশ্বর তৎসাধনের বলও আমাদিগকে প্রেরণ করেন। আমরা উদ্দেশু কাৰ্য্যে আকাজিত সুখ ও স্বার্থ সাধন দেখিতে পাই না বলিয়া তাহা পরিত্যাগ করি এবং নানা কার্য্যে জীবন পরিবর্তন করিয়া কোথাও শান্তি পাই না। এইরূপে আমরা যাহা পাই, তাহাও অবাধ্যতার দোষে হারাইয়া ফেলি । মনুষ্যদিগের কার্য্য, ভাব, ও প্রবৃত্তি ভিন্ন ভিন্ন প্রকার হইলেও তাহার এক শ্রেণীস্থ হইয় আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন করিতে পারেন, অর্থাৎ একসঙ্গে তাহদের আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন হইতে পারে। বিদ্যালয়ের এক শ্রেণীর ১০ জন ছাত্রের কাহার অঙ্কে, কাহার সাহিত্যে, কাহার বিজ্ঞানে অধিক অনুরাগ ও পারদর্শিতা থাকিতে পারে, কিন্তু তথাপি র্তাহারা সকলেই এক সঙ্গে উচ্চ শ্রেণীতে উঠিয়া থাকেন। ঈশ্বর যে মনুষ্যকে যে কার্য্যের জন্য প্রেরণ করেন, তিনি সেই কাৰ্য্য করিলেই ঈশ্বরের অভিপ্রায় সম্পন্ন করেন। বড় লোকের বড় কাৰ্য্য, ইতিহাস ও জীবন চরিতে উঠে ; কিন্তু সামান্ত লোকের কার্য্যও মূল্যহীন লয় । যুদ্ধে জয়লাভ হইলে সেনাপতির নাম হয় বটে, কিন্তু প্রত্যেক সেনাও তাহার কার্য্য করিয়াছে। বড় লোকের বিপদও বড়। ভেক কৰ্দমে পড়িলে সত্বর উঠিতে পারে, কিন্তু হাতীর পতন ভয়ানক । বড় লোকের কাজের বাহিরের ফল দেখিয়া আমরা তাহাদিগকে সৌভাগ্যবান মনে করি, কিন্তু তাহদের ভিতরের কার্য্যপ্রণালী দেখিলে তাহদের কষ্ট দেখিয়া দুঃখ হয়।