পাতা:ধর্ম্মসাধন.djvu/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দু ধৰ্ম্মের বৃহৎ বৃহৎ শাস্ত্র ছাড়িয়া দিয়া চৈতন্য এক ‘হরিনাম পরিত্রাণের সহজ পথ বাহির করিলেন। সেই নামের ভূমি আবার অতি স্বক্ষ বিশ্বাস। ফলতঃ বড় ব্যাপারের উপর পরিত্রাণ নির্ভর করা ভ্রম। ধুম ধাম আড়ম্বরের ভিতর আত্মা যথার্থ অবলম্বনের বস্তু পায় না, কিন্তু একটা স্বক্ষ স্বত্র প্রাণের সহিত ধরিয়া থাকিতে পারে। অল্প স্থানে যাহ থাকে, সমুদায় শরীরের বলে তাহা উত্তোলন করা যায়, কিন্তু বৃহদায়তন বস্তু দুইটা কথা ধরিয়া থাকিতে না পারিলে আর উপায় নাই। : সকল ধৰ্ম্মের মূল অতি স্বক্ষ, প্রত্যেকের ধৰ্ম্ম জীবনের মূলও স্বক্ষ ও অদৃশু। তাহাতে গ্রন্থ নাই, গুরু নাই, অনেক শব্দড়িম্বর ও কাৰ্য্যাড়ম্বরও নাই। একজনের মনে কেবল একটা ভাব উত্তেজিত হয়, তাহাতেই দেশ বিদেশ ও সমুদায় পৃথিবীকে অগ্নিময় করিয়া তুলে। চৈতন্য ও খৃষ্টের প্রেমরাজ্য ও স্বৰ্গরাজ্য প্রথমে অল্প কথার মধ্যে ছিল এবং তখন তাহার গুরুত্বও অধিক । ছিল। ক্রমে পুথি বাড়িয়া গেল, তাহার গুণেরও লাঘব হইল। প্রত্যেকে আপনার আপনার জীবনে এক এক সময় বিদ্যুতের ও অগ্রাহ করেন, কিন্তু তাহাই বিশ্বাস বন্ধনের মূল স্বত্র। যে শুভক্ষণে ঈশ্বর এই আলোক প্রেরণ করেন, তাহার দিন ক্ষণ লিথিয়া রাখা উচিত। এই আলোক ক্রমে উজ্জল হইয়া বিশ্বাসীর নিকট চিরজীবনের পথ প্রদর্শন করে এবং ইহারই তেজে সমুদায় পাপক্ষয় হইয়া পরিত্রাণ লাভ হয়। । . . . .