পাতা:ধর্ম্মসাধন.djvu/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মসাধন। 3 × মধ্যেই আনন্দ ও বিষাদ। উপাসনা কালে আপনাকে ভুলিয়া গেলে যে অবস্থা হয়, তাহাই পরলোকে সাধুদিগের অবস্থার প্রশ্ন। ঈশ্বর ও পরকাল সাধন কি স্বতন্ত্র প্রকার? উত্তর। মনের প্রকৃত অবস্থায় ঈশ্বর সাধন ও পরকাল সাধন এক কালেই হয় ; আমরা কখন জ্ঞান, কখন ভক্তি, কখন ধৰ্ম্মের এক অংশ, কখন অন্য অংশ সাধন করি; ইহা কেবল আমাদিগের অবস্থা প্রকৃত নহে বলিয়া। ঈশ্বরের ধ্যান, চিন্তা ও সাধনে যে আনন্দ, উন্নত সাধকদিগের পরলোক সাধনেও সেইরূপ। নিম্নশ্রেণীস্থ ব্যক্তিদিগের পক্ষে সেরূপ সম্ভব নয়। তাহারা পরলোকের দিকে সম্পূর্ণ দৃষ্টিপাত করেন না বলিয়া তাহাদিগের নিকট পরলোক এক প্রকার অনিশ্চিত হইয়া থাকে। প্রতিদিন ঈশ্বরের উপাসনা করিব, এরূপ দৃঢ় নিয়ম না থাকিলে পরলোকের ন্যায় ঈশ্বরও আমাদিগের নিকট অনিশ্চিত পদার্থ থাকিতেন। ব্ৰহ্ম সাধনের উপায় অবলম্বন করিতে পারিয়াছি বলিয়া তাহাকে উজ্জল আনন্দময় বলিয়া বিশ্বাস দৃঢ় হইতেছে। প্রলোকের বিষয় সাধন করিলেও ঠিক সেইরূপ হইবে ; সাধনের তারতম্যে ধোয়া ও উজ্জ্বলতা উভয়ই দেখা যাইতে পারে। ঈশ্বরের সহিত ঘনিষ্ঠত হইলে কেবল তাহার কাছে নয়—কিন্তু র্তাহার মধ্যে বাস করি, পরলোক বিষয়েও ঠিকৃ সেইরূপ। ঈশ্বর ও পরলোক সাধন পরস্পরের সহকারী। আত্মার বাসস্থান পরকাল, উহা ঈশ্বরে। ইহা না হইলে প্রকৃত ব্রাহ্মের ভাব উপলব্ধি হয় না । ঈশ্বরে অনন্ত কাল বাস করি