পাতা:ধুতুরা ও যুঁই -বিজন আচার্য.pdf/৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কারচর্য কবিপ্রতিষ্ঠা নেই অথচ ভালো কবিতা লেখেন এমন মানুষের সাক্ষাৎ কচিংকখনো ঘটে। যশের জন্য নয়, অর্থের জন্যও নয় ; কাব্যরচনা তাদের চারুশীলনের অপরিহার্য অঙ্গ। মহাকালের সোনার-তরীতে হয়ত তাদের স্থান হবে না, কিন্তু সহৃদয় সামাজিকের কাছে তাদের সমাদর চিরদিনের। বিজনকুমার আচার্যের সঙ্গে আমার পরিচয় অল্পদিনের। কিন্তু এই অল্পদিনের মধ্যেই আমি এই প্রচারকুণ্ঠ অগ্ৰগল্‌ভ মানুষটিকে ভালোবেসেছি। বুঝেছি কবিতা তার অন্তরঙ্গ আত্মপ্রকাশেরই বাহন । তিনি বলছেন, পরিহাস-রসিক বন্ধুরা ঠাট্টা করে বলে : মানের বই-এ হাত পাকালে ফলত কিছু ফল, রূপোর সাথে রূপালী চাদ, সংসারেতে বল । সেই দিকেতে নেইকো খেয়াল, বইছ শুধু ভূতের জোঁয়াল, বললে কথা কান পাত না পাবেই শেষে ফল, সাধ হয়েছে দেখতে তলা—দেখ না হয় তল । কবিতাটি আছে ছোটদের জন্য লেখা বিজনকুমারের চটর পটর কাব্যগ্রন্থে। আত্মপরিহাসের ভঙ্গিতে লেখা হলেও ওটি কবির আত্নকথা। ভূতের বেগার নয়, ভূতের জোয়াল হয়েই কবিতা তার কাধে চেপেছে। তিনি বলেছেন, সন্ধ্যা সুনায় যখন মেঘে বাইরে দেয়া উঠছে ডেকে আবছায়াতে ঘরের কোণে চলছে কানাকানি ঘরের মন বাইরে ডাকে কার সে হাতছানি ? এই রহস্যময় হাতছানি কবির ঘরের মনকে বারবার বাইরে ডাক দিয়েছে আর তারই স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ ঘটেছে মঞ্জুভাষী কয়েকগুচ্ছ কবিতায়।