এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪২
ধুলিরাশি।
এইরূপে যায় দিবসযামিনী,
তখনো তখনো সাগর-কূলে।
বেড়া’ত বালিকা মলিন মু’খানি,
পড়েছে কালিমা নয়ন-কোলে॥
একদা নিশীথে সে গহন বনে,
ডাকিতেছে বালা কাতর স্বরে।
“কোথা দয়াময়! এই শেষ দিনে,
“ও চরণে ঠাঁই দাও হে মোরে॥
“কে আছে আমার এই পৃথিবীতে,
“দুখের দুখিনী হইবে বলে।
“তাই আজি, পিতঃ, বিদরিত চিতে,
“কাঁদিতে এসেছি চরণ-তলে॥
“জীবন-প্রদীপ আসিছে নিবিয়ে,
“জীবনের ফুল পড়িছে ঝরে।
“এই হে এসেছি কাতর হইয়ে,
“শান্তি-বারি, নাথ, দাও হে মোরে॥”