পাতা:ধ্রুববাদী অগস্ত্‌ কোম্‌ত - কেনেথ সোমারলেড ম্যাকডোনাল্ড.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[ ৫৫ ]

পত্নীর জীবনান্তেও অপর পুরুষকে পুনরায় পতিত্বে বরণ, বা দ্বিতীয় সহধর্ম্মিণী গ্রহণ, করিতে পারিবেক না,এই নিয়মটি তাঁহার মতে তদীয় প্রতিভাপ্রসূত। ইহা ধ্রুববাদে প্রথম উদ্ভাবিত ও বিধিবদ্ধ হইয়াছে বলিয়া,গৌরবাকাঙ্ক্ষা করা যে নিতান্ত দুরাশা মাত্র তাহা সকল হিন্দুধর্ম্মজ্ঞ লোকেই মুক্তকণ্ঠে অঙ্গীকার করিবেন। তিনি আর বলেন যে “এপর্যন্ত কোন ধর্মই এতাদৃশ বিশুদ্ধ বা উন্নত হয় নাই যে এই প্রণালী অবলম্বনে সম্যক্ সমর্থ। ধ্রুবাদিগণ যাহাকে পরিণয়ের নিগ‍ুঢ় তাৎপর্য্য বলিয়া স্থিরসিদ্ধান্ত করিয়াছেন, উক্ত বিধি তাহা হইতেই বিনিঃসৃত হইয়াছে।” একবিবাহ এবং জীবনান্তে সমাধিমধ্যে স্ত্রীপুরুষ উভয়ের পুনর্ম্মিলন পূর্ব্বতন কোন ধর্ম্মেই বিধিবদ্ধ ছিল না; কিন্তু বস্তুতঃ তদুভয় ব্যতীত স্ত্রীপুরুষ অভিন্নহৃদয় হইবার সম্ভাবনা নাই, সুতরাং পাতিব্রত্যও রক্ষা হওয়া সুকঠিন। এস্থলে এই অতিনব দর্শন প্রাচীন অজ্ঞানতিমিরাবৃত মূঢ়জন বা কুসংস্কারাবিষ্ট নীচ নিন্দুককে এই কথায় নিরুত্তর ও নিরস্ত করিতে পারে যে, মনুষ্যের চিত্তৌৎকর্ষের সহিত উন্নতিজনিত নবনব নীতিরও উদ্ভাবন হইয়া থাকে।” তিনি যে কেবল অনভিজ্ঞতা বশতঃ অসীম মহিমান্বিত হিন্দু বুধগণের নাম স্বীয় পণ্ডিত-তালিকায় উল্লেখ করেন নাই, এমন নহে, বরং তাঁহাদিগকে স্বভাববাদী বা ব্রহ্মবাদী বলিয়া অতীব হেয় জ্ঞানেই তন্মধ্যে স্থান দান করেন নাই, ইহাই