পাতা:নকল রাণী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নকল রাণী।
১১

তৃতীয় পরিচ্ছেদ।

 আমি ব্রাহ্মণমণ্ডলীর মধ্যে উপবেশন করিয়া উত্তমরূপে আহারাদি সমাপনান্তর আপনার বাসায় আসিয়া উপস্থিত হইলাম। সন্ন্যাসী ঠাকুর আর সেই রাত্রিতে প্রত্যাগমন করিলেন না; পর দিবস অতি প্রত্যুষে তিনি বাসায় আসিয়া উপস্থিত হইলেন, ও আমাকে কহিলেন, “আমাকে যেরূপ উপদেশ প্রদান করিয়াছিলেন, আমি ঠিক তাহাই সম্পন্ন করিয়াছি। সকলে যখন আহার করিতে বসিল, সেই সময় আমি একটি ঘরের ভিতর অন্ধকার মধ্যে লুকাইয়া রহিলাম। আমি যে ঘরে লুকাইয়া ছিলাম, ঠিক তাহার পার্শ্বের ঘরেই কমলা থাকিতেন। দেখিলাম, একে একে বাটীর সব গোলমাল মিটিয়া গেল। রাত্রি হইতে চলিল। রজনী দ্বিযাম অতিক্রম করেন। রাজভবন নিস্তব্ধ, বৈঠকখানাঘরের আলোক নির্ব্বাণোম্মুখ, জনপ্রাণীর সাড়া শব্দ নাই। ধরিত্রী ঝিল্লীরবে পরিপুর্ণ, এমন সময় রাজভবনের প্রকোষ্ঠে দুইটি মনুষ্যমূর্ত্তি কি বলাবলি করিতেছে। প্রথমটি আমাদের কমলাদেবী আর দ্বিতীয় ব্যক্তির নাম শঙ্করদাস। শঙ্করদাসকে দেখিতে খুব বলিষ্ঠ, বয়স ২৯৷৩০, যুবক, একরকম দেখিতে মন্দ নহে। এই শঙ্করদাস রাণীর নিকট অনেক দিন আছে, জাতিতে উগ্রক্ষত্রিয়, নিবাস ঠিক কোথায়, তাহা জানি না, বড়ই বিশ্বাসী কর্ম্মাচারী। রাণী কিছুক্ষণ পরে শঙ্করের দিকে চাহিয়া বলিলেন,—