পাতা:নটীর পূজা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নটীর পূজা
১৭

পেঁচা। দেখো তো অজিতা, শ্রীমতীকে নিয়ে কেন বিদ্রূপ। ও তো উপদেশ দিতে আসে না।

বাসবী

 ওর চুপ করে থাকাই তো রাশীকৃত উপদেশ। ওই দেখো না, চুপি চুপি হাসছে। ওটা কি উপদেশ হল না।

রত্নাবলী

 মহৎ উপদেশ। অর্থাৎ কিনা, মধুরের দ্বারা কটুকে জয় করবে, হাস্যের দ্বারা ভাষ্যকে।

বাসবী

 একটু ঝগড়া কর না কেন, শ্রীমতী। এত মধুর কি সহ্য হয়। মানুষকে লজ্জা দেওয়ার চেয়ে মানুষকে রাগিয়ে দেওয়া যে ঢের ভালো।

শ্রীমতী

 ভিতরে তেমন ভালো যদি হতেম বাইরে মন্দর ভান করলে সেটা গায়ে লাগত না। কলঙ্কের ভান করা চাঁদকেই শোভা পায়। কিন্তু অমাবস্যা! সে যদি মেঘের মুখোশ পরে।

অজিতা

 ওই দেখো, গ্রামের মেয়েটি অবাক হয়ে ভাবছে,