পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ ఏఏ C AAASA SSASAS A SAS SSASAS AAA AAAAA S AASAASAASAASAASAAe SAS SSAS SSAS SSAS SSAS লজ্জিত আছি । অসময়ে আপনি আমার বড় উপকার করিয়াছিলেন, আজ আপনাকে টাকাকয়টি ফেরৎ দিতে আসিয়াছি।” নওরোজি একটু কুষ্ঠিত হইয়া বলিলেন, “সে টাকার কথা আমি ভুলিয়াই গিয়াছিলাম ; তাহা না পাওয়াতেও আমার কোন অসুবিধা হয় নাই। আপনার অসুবিধা করিয়া আমাকে এ টাকা দিবেন না।” প্রেমজি বলিল, “ন, না, এ সামান্ত দেনা পরিশোধ করিতে এখন আমার আর কোনও কষ্ট নাই ; আমার মাসিক তিনশত টাকা বেতনের চাকরী হইয়াছে।” প্রেমজি ভাবিয়াছিল, এই কথা শুনিবামাত্র নওরোজি হয়ত বিস্ময়ে হতজ্ঞান হইয়া পড়িবে | তাহার মত অল্পবয়স্ক যুবক মাসিক তিন শত টাকা বেতনের চাকরী পাইয়াছে শুনিলে তাহার মনে ঈর্ষ্যার সঞ্চার হইতে পারে। কিন্তু নওরোজির মনে বিস্ময় বা ঈর্ষ্য স্থান পাইল না ; তিনি মৃদু হাস্তে বলিলেন, “আপনার সৌভাগ্যে আমি সুখী হইলাম। আপনাকে কি কাজ করিতে হয়,—জিজ্ঞাসা করিতে পারি কি ?” প্রেমজি এই প্রশ্নে কিছু বিব্রত হইয়া পড়িল ; কারণ তাহার কি চাকরী, তাহ তখনও সে জানিতে পারে নাই ! সুতরাং কথাটা চাপ৷ দিয়া প্রেমজি জিজ্ঞাসা করিল, “আপনি কি এখনও সেই রকম মিস্ত্রীর কাজ করিতেছেন ?” * নওরোক্তি বলিলেন, “কি করি ? আমার ধনবান আত্মীয় স্বজন বা কুটুম্ব কেহই নাই। শৈশবে অনাথাশ্রমে প্রতিপালিত হইয়াছি ; বার বৎসর বয়স পর্য্যন্ত এক রকম সুখেই কাটিয়াছে। তাহার