পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নন্দনে নরক جام د বৃদ্ধ বলিলেন, “পরমেশ্বর ত সকলকে সমান অবস্থায় রাখেন না ; কত বড় লোক অদৃষ্ট-দোষে গরিব হইয়া যাইতেছে, তাহাদের ছেলে মেয়ের দুটি উদরান্নের জন্য কত সামান্য কাজ করিতেছে কে বলিবে ?” কৰ্ণোলয় বলিল, “শুনিলাম উহার পিতামাত ভাই ভগিনী কেহই নাই, এমন কি ঘরবাড়ী পর্য্যন্তও নাই ! তাহা হইলে ত উহার বড় কষ্ট পিসিমা ?” বৃদ্ধ বলিলেন, “পরমেশ্বর যাহাকে যে অবস্থায় রাখেন, তাহাকে সেই অবস্থাতেই থাকিতে হয় ; কষ্ট হইলে আর উপায় কি ?” কর্ণেলিয়া একটু ইতস্ততঃ করিয়া বলিল, “শুনিলাম উহাকে নিজের হাতে রণধিয়া খাইতে হয় ; তা আমরা ত একটা কাজ করিতে পারি পিসিমা ।” পিসিমা জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি কাজ ?” কর্ণেলিয়া বলিল, “আমাদের এখানে ত অনেক লোকের রান্না হয় ; নওরোজি এপানেই সমস্ত দিন কাজ করে ; উহাকে দু’ বেলা দুটি খাইতে দিলে কি আমাদের কিছু অসুবিধা হয়, পিসিমা ?” পিসিমা এবার মুখ তুলিয়া কর্ণেলিয়ার মুখের দিকে চাহিলেন, দেখিলেন করুণ ও সমবেদনায় কর্ণেলিয়ার সুন্দর মুখখানি সদ্যবিকসিত পরিমলপূর্ণ শতদলের ন্যায় ঢল ঢল করিতেছে। বৃদ্ধ সস্নেহে বলিলেন, “তোমার বাপের অন্ন কতজনে খাইতেছে, একটা মিস্ত্রীকে দুবেলা দুটা খাইতে দিবে, সে আর বেশী কথা কি ? তাহাকে বলিয়। পাঠাইও, কাল হইতে সে আমাদের এখানেই খাইবে।” পিসিমার সদাশয়তায় কর্ণেলিয়ার হৃদয় আনন্দে পূর্ণ হইল ; সেই