পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> め、 নন্দনে সরক সত্যই কত্রী ক্রোধে দিগ্বিদিক জ্ঞান শূন্ত হইয়াছিলেন ; নওরোজি র্তাহার সম্মুখে উপস্থিত হইবামাত্র, যাহা মুখে আসিল তাহাই বলিয়৷ ঝড়ের মত বেগে তিনি র্তাহার উপর অনর্গল তিরস্কার বর্ষণ করিতে লাগিলেন । নওরোজি মৃদুস্বরে জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনি আমায় কেন এত তিরস্কার করিতেছেন ?” এই প্রশ্নে কত্রী আরও অধিক ক্রুদ্ধ হইয়৷ চীৎকার করিয়া বলিলেন, "নিলজ, আবার তুই জিজ্ঞাসা করিতেছিস্ কেন আমি তিরস্কার করিতেছি ? বামন হইয়। তুই চাদ ধরিবার জন্য হাত বাড়াইয়াছিস্ ! তোর মত ছোট লোকের এত বড় স্পৰ্দ্ধা ! তুই দরিদ্র মজুর মাত্রমহাসন্ত্রান্ত লক্ষপতির কন্যার প্রতি তুই লোভ করিস?—এমন দুষ্ট প্রবৃত্তি তোকে কে দিল ?” নওরোজির আরক্তিম মুখমণ্ডল পাংশুবর্ণ ধারণ করিল ; তিনি জড়িতস্বরে বলিলেন, “আমি কোনও অপরাধ করি নাই।” কী দ্বিগুণ বেগের সহিত বলিলেন, "অপরাধ করিসূ নাই ? তোর মুখ দেখিয়াই বুঝিতে পারিতেছি—তুই অপরাধী। তুই পথের কুকুর, সার কাসে টজি মেটার কন্যার প্রতি লোভ ? কি স্পৰ্দ্ধা ! কি সাহস ! - তুই কি মনে করিয়াছিস কর্ণেলিয়ার মনোরঞ্জন করিতে পারিলেই তাহার পিতা সাধিয়া তোর হাতে কন্যা সম্প্রদান করিবেন ?” এবার নওরজি অপেক্ষাকৃত দৃঢ় স্বরে বলিলেন, “আমি ঈশ্বরের নামে দিব্য করিয়া বলিতে পারি—” 疊 বৃদ্ধ বাধা দিয়া উগ্রস্বরে বলিলেন, “ঈশ্বরের দিব্য ! কুলী মজুরের