পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&) নন্দনে নরক mor-o-o-o SAMAeAAAA এই পত্ৰখানির ভাষা যেরূপ অসংযত, অমার্জিত ও শিষ্টাচারবর্জিত, তাহাতে পাঠক বুঝিতে পারিয়াছেন, ইহার লেখক একজন অশিক্ষিত ধনাঢ্য যুবক। কোনও সাধবী কুলললনাকে কেহ এরূপ পত্র লিখিলে । তাহাকে তিনি কখনই মার্জন করিতেন না! পত্ৰখানি পাঠ করিয়াই ক্রোধে, ক্ষোভে ও অপমানে বিচলিত হইয়া তিনি তাহা অগ্নিমুখে সমর্পণ করিতেন। কিন্তু এই পত্র পাঠ করিয়া এমিলির মনে বিন্দুমাত্র ক্ৰোধ বা কুষ্ঠার সঞ্চার হইল না ! পত্ৰখানি ক্রোড়ে রাখিয়া সে দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলিয়া বলিল, “আমার ত কিছুতেই সাহস হইতেছে না ; এই অনিশ্চিত অনির্দিষ্ট পথে কি করিয়া অগ্রসর হইব ? কিন্তু এত প্রলোভন সংবরণ করাও আমার অসাধ্য।”—সহসা কাহার পদ শব্দ যুবতীর কর্ণে প্রবেশ করিল ; সে তাড়াতাড়ি উঠিয়া একটি ক্ষুদ্র হাত বাক্সে সেই পত্ৰখানি বন্ধ করিয়া রাখিল, তাহার পর এক লঙ্কে পূৰ্ব্ব স্থানে আসিয়া বসিল । দুই এক মিনিটের মধ্যেই একটি যুবক সেই কক্ষে প্রবেশ করিল। যুবকের বয়স ২৩|২৪ বৎসর হইতে পারে ; বর্ণ উজ্জ্বল গেীর, অতি সুপুরুষ । তাহাকে দেখিয়া কোনও সন্ত্রান্ত বংশের সস্তান বলিয়াই মনে হয় । কিন্তু এই যুবকের সর্বাঙ্গে দারিদ্র্যের নানা চিহ্ন বর্তমান ; তাহার মুখ অপ্রসন্ন, এবং সৰ্ব্বাঙ্গে ক্লাস্তির লক্ষণ পরিস্ফুট,–যেন সে দিবানিশি ভীষণ দারিদ্র্যের সহিত সংগ্রাম করিয়ারাস্ত ও হতাশ হইয়া পড়িয়াছে। তাহার পরিচ্ছদ জীর্ণ ও মলিন, পাছক ছিন্নপ্রায়, মস্তকের টােপ বহু পুরাতন ও বিবর্ণ।—এই যুবকের নাম প্রেমজি । প্রেমজি সেই কক্ষে প্রবেশ করিয়াই অবসন্নভাবে শয্যার উপর