পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

X >8 নন্দনে নরক ভাবে বসিয়া ছিলাম, এদিকে লোকের মুখে কলঙ্কের ঢাক বাজিয়া উঠিয়াছে !” త এবার যেন কশাঘাতে সুপ্ত সিংহ জাগিয়া উঠিল, নওরোজির বিবর্ণ মুখ সহসা লোহিত বর্ণ ধারণ করিল। তিনি সক্রোধে জিজ্ঞাসা করিলেন, "নিস্কলঙ্কচরিত্রা, শুভ্র কুসুমের ন্যায় পবিত্ৰহৃদয়া, সরলতার মূৰ্ত্তি-স্বরূপিনী কর্ণেলিয়ার চরিত্রে দোষারোপ করিতে পারে, এমন নরাধম কাপুরুষ কে আছে ? আমি এখনই তাহার মুণ্ড ছিড়িয়া আনিব।” বৃদ্ধ বলিলেন, “দেখিতেছি তোমার শরীরে শক্তি আছে ; তুমি কথায় ঘাহা বলিতেছ কাজে তাহা করিতে পার, একথা আমি অবিশ্বাস করি না ; কিন্তু কয়জনের মুণ্ড ছিড়িবে ? সকলের মুখ কিরূপে বন্ধ করিবে ? কলঙ্কে যখন চারিদিক পূর্ণ হইয়া উঠিবে, তখন কর্ণেলিয়ার নিস্কলঙ্ক শুভ্র কুমারী জীবন ও কুলমানের গৌরব কিরূপ রক্ষা পাইবে ? —এখনও সকল লোক এ কথা জানিতে পারে নাই। বহু কর্ণে এ কলঙ্ককাহিনী প্রবেশের পূৰ্ব্বে তুমি নৌসেরা ছাড়িয়া চলিয়া যাও, কর্ণেলিয়াকে চিরজীবনের মত ভুলিয়া যাও ; আর কখনও এপথে পদার্পণ করিও না ।” এরূপ আদেশ না করিয়া বৃদ্ধ যদি তাহাকে তীক্ষুধার ছুরিকা দ্বারা তৎক্ষণাৎ হৃৎপিণ্ড বিদীর্ণ করিবার আদেশ প্রদান করিতেন, তাহ। হইলেও তিনি এরূপ বিক্ষিত, বিচলিত ও ব্যথিত হইতেন ন । তিনি কাতর কণ্ঠে বলিলেন, “এতদিন পর্য্যন্ত আপনি আমার প্রতি অনেক অনুগ্রহ প্রদর্শন করিয়া আসিয়াছেন, দয়া করিয়া আমার একটি কথায় কৰ্ণপাত করুন ; আমি অদুরদর্শী যুবক মাত্র, স্বীকার করি, আমার