পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ ר מ צ আমার তাহ অসাধ্য হইবে না । সহস্র বাধা বিপত্তির সহিত সংগ্রাম করিয়া আমি জয়লাভ করিব, কোন দুষ্কর কৰ্ম্মসাধনেই আমি নিরুৎসাহ বা পশ্চাৎপদ হইব না। আমি দরিদ্র, অর্থোপার্জন করিয়া আমি সমাজে ধনবান বলিয়া পরিচিত হইব ; আমি বংশ-গৌরব হীন, প্রাণপণ চেষ্টায় খ্যাতি উপার্জন করিয়া যশস্বী হইব । তখন বোধ হয় আমি আর তোমার অযোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইব না।”

  • কর্ণেলিয়া বলিল, “সহিষ্ণুতাই তোমার একমাত্র অবলম্বন ।”

নওরোজি বলিলেন, “আমার সহিষ্ণুতারও অভাব নাই ; তোমার নিকট একটি আশার কথা পাইলে, পরম সহিষ্ণু চিত্তে আমি জীবনের যুদ্ধে অগ্রসর হইব ।” কর্ণেলিয়। উদ্ধে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া বলিল, “যাও, জীবনের যুদ্ধে প্রবৃত্ত হও, কখন হতাশ হইও না । বিজয়ী বীরের ন্যায় খ্যাতি লাভ কর ; বিপুল ঐশ্বর্ষ্যে মণ্ডিত হও, সমাজ তোমার যশে ও গৌরবে পূর্ণ হউক । আমি তোমার নিকট শপথ করিয়া বলিতেছি, আমি তোমার ; জীবনে আমি অন্ত কাহাকেও বিবাহ করিব না।” নওরোজি অশ্রু-সজল নেত্রে কর্ণেলিয়ার মুখের দিকে প্রেমপূর্ণ সতৃষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া ক্ষুন্নমনে সেই উদ্যানভবন পরিত্যাগ করিলেন । Q তাহার পর দিন হইতে আর কেহ তাহাকে নৌসেরায় দেখিতে পায় নাই ।