পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম পরিচ্ছেদ ༅༽ AMAMAMAMAMAMAMAAASAAAA বসিয়া পড়িল ৷ এমিলি তাহার মুখের দিকে চাহিয়া অসন্তুষ্ট্রভাবে বলিল, “আজও কি কোন সুবিধা করিয়া উঠিতে পারিলে না ?” প্রেমজি অবনত দৃষ্টিতে স্নান মুখে বলিল, “না চতুর্দিকে কেবল নিরাশ নিরাশা ও মনস্তাপ ভিন্ন আর কিছুই সঞ্চয় করিতে পারি নাই।” যুবতীর মুখ অন্ধকার হইয়া উঠিল ; সে তাহার সুন্দর ক্রযুগল সঙ্কুচিত করিয়া বলিল, “কিন্তু আজ তুমি যখন বাহিরে যাও, তখন বলিয়া গিয়াছিলে একটা কিছু না করিয়া আর ফিরিবে না।” প্রেমজি দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া বলিল, "এমিলি, আজ সকালে অনেক আশা করিয়া বাহিরে গিয়াছিলাম ; কিন্তু যাহাদের কথার উপর নির্ভর করিয়া তোমাকে আশা দিয়াছিলাম, এখন দেখিতেছি তাহাদের কথার কোনও মূল্য নাই ; ইহারাই আবার বড় লোক ! আমার ন্যায় নগণ্য দরিদ্রের সহিত ইহারা কেন যে, এরূপ কপট ব্যবহার করিল, তাহা আমি বুঝিয়া উঠিতে পারিতেছি না ; বোধ করি ইহাই তাহাদের মহত্ত্বের নিদর্শন !” এমিলির সুন্দর মুখখানি পাংশুবর্ণ ধারণ করিল, সে মুখ ফিরাইয়া বলিল, “আমরা আছি বেশ ! কিন্তু এ ভাবে কতদিন চলিবে ?” প্রেমজি সবিষাদে বলিল, “পরমেশ্বর তাহ জানেন ।” এমিলি বলিল, “কিন্তু পরমেশ্বরের অনেক কাজ, নিষ্কৰ্ম্ম অলস লোকের মুখে খাবার তুলিয়া দিবার তাহার অবসর নাই ; শীঘ্ৰ কোনও একটা উপায় না করিতে পারিলে আর চলিতেছে না। আজ সকালে তুমি বাহিরে যাইবার পর পেষ্টনজির স্ত্রী আসিয়া গত মাসের ভাড়া চাহিতেছিল ; সে বলিয়াছে, আজ হইতে তিন দিনের মধ্যে ভাড়া