পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ես নন্দনে নরক নিউইয়া দিতে ন পারিলে আমাদের পথ দেখিতে হইবে । আমি ইহাদিগকে বেশ চিনিতে পারিয়াছি, মাগী যাহা বলিয়াছে সে তাহ করিবেই। শেষে কি রাস্তায় গিয়া দাড়াইতে হইবে ? হা পরমেশ্বর, অদৃষ্টে এত দুঃখও লিখিয়াছিলে!” প্রেমজি বলিল,"সংসারে আমি নিতান্ত একাকী ও একান্ত অসহায় ; তোমার যে কি উপায় হইবে, তাহাই ভাবিয়া আমি আরও কাতর হইয়াছি; কাহারও গৃহে গিয়া যে, এক বেলার মত আশ্রয় পাইবে এরূপ সম্ভাবনাও দেখিতেছি না।” এমিলি বলিল, “হাতে যে আর একটি পয়সাও নাই ! যে কিছু জিনিসপত্র সঙ্গে ছিল, পেটের দায়ে একে একে সকলই বিক্রয় করিয়াছি; এই জীর্ণ পরিধেয় বস্ত্র ভিন্ন দ্বিতীয় বস্ত্র পর্য্যন্ত সম্বল নাই ! কাল হইতে এক রকম উপবাসেই কাটিতেছে ; কিরূপে প্রাণ বাচিবে ?” প্রেমজি এ প্রশ্নের কোন উত্তর দিল না ;–ক্ষোভে দুঃখে অধীর হইয়া উভয় হস্ত নিপীড়ন করিতে লাগিল । এমিলি দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া বলিল, “আমাদের অবস্থা কি শোচনীয়, কি মৰ্ম্মভেদী ! এখন যাহাতে আমাদিগকে অনাহারে মরিতে না হয় তাহার একটা উপায় কর । আর চিন্তার সময় নাই, ক্ষুধার যন্ত্রণা আর সহ হয় না।” ウ প্রেমজি তাহার পুরাতন জীর্ণ ও বিবর্ণপারসী কোটটা খুলিয়া এমিলির সম্মুখে রাখিল, বলিল, “আপাততঃ এই কোটটা লইয়া যাও, যদি ইহা বন্ধক রাখিয়া কাহারও কাছে কিছু পাও তাহার চেষ্টা কর।”