পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ ) లిసె বাপুভাই বলিল, “ই একটা নূতন ক্রেতা পাইয়াছি, সুবিখ্যাত ধনী দোরাবজি কামার পুল্ল জাহাঙ্গীরজি কামা—সেদিন আড়াই হাজার টাক মূল্যের এক সেঠ ব্রেসলেট লইয়া গিয়াছে ; টাকা এখনও পাই নাই। জাহাঙ্গীরজির সঙ্গে একটি যুবতী ছিল, শুনিলাম তাহার নাম গুলবাই, তাহার জন্যই এই ব্রেসলেট ।” জেমসেটজি বলিলেন, “এই ছোকরাটা আমার বড় শক্র, তাহাকে জদ করিবার একটা ফন্দী বাহির করিতে হইবে।” বাপুভাই বলিল, "চুড়ীটাকে লইয়। জাহাঙ্গীরজি যেরূপ মত্ত হইয় উঠিয়াছে দেখিলাম, তাহাতে বোধ হইল সে তাহার জন্য সকল রকম দুষ্কার্য্যই করিতে পারে। তাহার টাকার বড় দরকার—অথচ পিত! বৰ্ত্তমান ; তাহার ইচ্ছানুযায়ী টাকা হাতে পাইবার উপায় নাই । সে আমার কাছে কিছু টাকা কৰ্জ চাহিতেছিল। আপনার কথা শুনিয়া মনে হইতেছে সে যখন যে টাকা চাহিবে তাহাই তাহাকে দেওয়া যাউক ; তাহার পর যখন তাহার ঋণের পরিমাণ অনেক অধিক হইবে, তখন কোন রকম করিয়া যদি তাহার নিকট হইতে অন্যের নাম জাল করা দুই একখানি হাণ্ডনোট বাহির করিয়| লওয়া যায়, তাহা হইলেই আপনার উদ্দেশ্য সিদ্ধ হইবে।” জেমসেটুজি বলিলেন, "এরূপ ফন্দী করিলে তাহাকে বিপন্ন করিতে পারা যাইবে কি অন্য কোনও উপায় আছে তাহ ভাবিয়া দেখিব । তোমাকে আরও একটা কথা জিজ্ঞাসা করিবার আছে, রমলা বাই জিজিভাইয়ের নিকট তুমি কত টাকা পাইবে ?” বাপুভাই বলিল, “অনেক টাকা । একমাসের মধ্যে তিনি প্রায় আট