পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

X & e নন্দনে নরক অসন্তুষ্ট হইয়াছ ? যাহাতে তোমার মনে বিরাগ জন্মে, আমি জ্ঞাত সারে এমন কোনও কৰ্ম্ম করিয়াছি বলিয়া স্মরণ হয় না।” দস্তুর সহেবের এই কথা গুলিতে এমন অব্যক্ত বেদন ও নিরাশ। ধ্বনিত হইতেছিল, যে, তাহ কর্ণেলিয়া করুণ হৃদয় ব্যথিত করিয়া তুলিল । কর্ণেলিয়া কাতর ভাবে বলিল “আপনার কোন কার্যে), আপনার কোন ব্যবহারে আমি আপনার প্রতি অসন্তুষ্ট হই নাই ; আপনি যে কাহারও মনে বেদন দিতে পারেন, এ বিশ্বাসও আমার নাই। আপনি আমার প্রতি যেরূপ সদয় তাহ আমি বুঝিতে পারি। আপনাকে পতিরূপে লাভ করা যে কোন রমণীর পক্ষে সুখের ও গৌরবের কথা।” হঠাৎ কর্ণেলিয়ার কথা বাধিয় গেল, নয়নের অশ্রু বাধা না মানিয়। তাহার প্রস্ফুটিত শতদল তুল্য লোহিতাভ মুকোমল গণ্ডস্থল প্লাবিত করিতে লাগিল । দস্তুর সাহেবের বিস্ময় আশঙ্কায় পরিণত হইল । এই নবীন। যুবতীর হৃদয়ের নিভৃত অন্তরালে কোন গুপ্ত সঙ্কল্প, কি নিগুঢ় রহস্ত লুক্কায়িত আছে, এই অশ্রুর আবরণ ভেদ করিয়া তিনি তাহা দেখিতে পাইলেন না। কিছুই বুঝিতে না পারিয়া তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি আমাকে তোমার আশা পরিত্যাগ করিতে কেন অনুরোধ করিতেছ, তাহ কি আমি জানিতে পারি না ?” এইবার কঠিন সমস্ত উপস্থিত । কিন্তু আর সঙ্কোচের সময় নাই, সত্য কথা প্রকাশ করিতেই হইবে । কর্ণেলিয়া মুহূৰ্ত্ত মাত্র ইতস্ততঃ করিয়া বলিল, “কারণ, আমি আপনার যোগ্য নহি, আমি অন্তকে ভালবাসি।”