পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

) (bo নন্দনে নরক মেটা সাহেব ব্যস্তভাবে নিম্নস্বরে বলিলেন, “তুমি কি ক্ষেপিয়াছ নাকি? কর্ণেলিয়। এখানেই আছে; তোমার কথা শুনিলে সে কি মনে করিবে ?” কিন্তু সত্যই কর্ণেলিয়ার কর্ণে এ কথা প্রবেশ করিয়াছিল ; অজ্ঞাত ভয়ে তাহার হৃদয় কঁাপিয়া উঠিল। সে বুঝিল দস্তুর সাহেবের সহিত বিবাহে তাহার পিতা ও পিতৃবন্ধুর ঘোর বিপদের আশঙ্কা আছে, কিন্তু সে কি বিপদ ?—ভাবিয়া কিছুই স্থির করিতে না পারিয়া কর্ণোলয় সংস্কল্প করিল, তাহার পিতার সহিত র্তাহার বন্ধুর কি কথাবাৰ্ত্ত হয়, লুকাইয় তাহ শুনিতেই হইবে। মেট সাহেব বন্ধুর সহিত যে কক্ষে প্রবেশ করিলেন, সেই কক্ষে ও "ড্রয়িং রুমের মধ্যে একটি দরজা ছিল, এই দরজার সম্মুখে একটা সুচিত্রিত মুদ্রগু পরদ। কর্ণেলিয়৷ ‘ড্রয়িং রুমে’ প্রবেশ করিয়া এই দরজণর কাছে গিয়া দাড়াইয় পরদা টানিয়া দিল ; তাহার পর উৎকর্ণ হইয়। উভয়ের কথা শুনিতে লাগিল । খ। বাহাদুর বেনানজি পেটেল উত্তেজিত ভাবে বলিতে লাগিলেন, “বড়ই বিষম ফ্যাসাদে পড়া গিয়াছে, আহার নিদ্রা নাই বলিলেও চলে ; তাহার উপর মেজাজ এমন বিগড়াইয়া গিয়াছে যে, লোকের কোন ও কথা বরদাস্ত হইতেছে ন৷ ৷ ভাবিলাম তোমার সঙ্গে একবার দেখ। করিয়া আসি ; তোমার চাকর বেটার বলে ‘হুজুরের সঙ্গে এখন দেখা হইবে না ; আমি কি তোমার খানাবাড়ীর প্রজা যে দেখা করিবার জন্য দরবার করিতে হইবে ? আর একটু বেশী গোল করিলে তোমার বেয়াদপ চাকর গুলাকে লাঠাইয়া দুরস্ত করিতাম।”