সপ্তদশ পরিচ্ছেদ MSMAeS GTSAASAAAS গুপ্তলিপি পেষ্টনজি সাপুরজি অত্যন্ত অলস প্রকৃতির লোক ছিলেন ; জেমসেট্জি -ঠাহীকে বেলা ১২টার সময় তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে বলিয়াছিলেন, কিন্তু ১টা বাজিয়া গেল, তখনও সাপুরজির দেখা নাই। অবশেষে প্রায় দুইটার সময় তিনি ঢুলু ঢুলু আরক্ত নেত্রে সোণার চসম আঁটিয়া, চুরুট টানিতে টানিতে ও দক্ষিণ হস্তে বেত্র আস্ফালন করিতে করিতে জেমসেটুজির কক্ষে প্রবেশ করিলেন। পেষ্টনজি সাপুরজির বয়স প্রায় ত্রিশ হইলেও তাহাকে পঞ্চবিংশতি বর্ষের অধিক বয়স্ক বোধ হয় না । তাহার শরীর দুৰ্ব্বল ও ক্ষীণ ; প্রথম যৌবনে তাহার দেহে যে লাবণ্য ছিল, নানাবিধ অত্যাচার, ব্যসন ও ব্যভিচারে সেই লাবণ্য বিকৃত হইয় তাহ এমন রূঢ়তায় পরিণত হইয়াছিল যে, সে মুখে পিশাচের মুখচ্ছবি প্রতিফলিত হইত। পেষ্টনজির বুদ্ধি বেশ তীক্ষ ছিল, কিন্তু সে বুদ্ধি কোনও দিন সুপথে পরিচালিত হয় নাই। যৌবনের প্রারম্ভ হইতেই বিলাসিনী সমাজের মনোরঞ্জনের জন্য র্তাহার সকল অর্থ ও উৎসাহ ব্যয়িত হইয়াছিল ; অবস্থার অতিরিক্ত অর্থব্যয় করিয়া অল্পদিনের মধ্যেই
পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৮৭
অবয়ব