পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তদশ পরিচ্ছেদ 〉シーぐ আমরা দরিদ্র ছিলাম, আমরা জীর্ণ কুটীরে বাস করিয়া,একবেলা আহার করিয়া, ছিন্ন ও মলিন শয্যায় রাত্রি যাপন করিতাম বটে, কিন্তু তখন আমাদের পরষ্পরের প্রতি স্নেহ, ভালবাসা, বিশ্বাস যেমন আন্তরিক, সেইরূপ অক্ষুণ্ণ ছিল ।” এই সকল ব্যক্তি গত আলোচনা পেষ্টনজির ভাল লাগিতে ছিল না, তিনি কিছু অধীর হইয়া উঠিলেন । কিন্তু তৎপ্রতি লক্ষ্য না করিয়া জেমসেটুজি আবেগ ভরে তাহার অতীত জীবনের দুঃখ দারিদ্র্যের কাহিনী বলিতে লাগিলেন ; তিনি বলিলেন, “আমরা তিন বন্ধুতে একত্র সংসার সংগ্রাম প্রবৃত্ত হই ; তিনজনেই আমার অত্যন্ত দরিদ্র ছিলাম, সংসারে • আমার আর কেহ ছিল না, আমি কিছু কিছু অর্থ উপার্জন করিতাম, তাহাতেই আমাদের তিন বন্ধুর দিনপাত হইত। কিন্তু কত দুঃখে আমাদের দিন কাটিত, সে সকল কাহিনী বিস্তুতভাবে বলিবার আলপ্তক নাই ; কিন্তু একটি ঘটনা বিশেষ উল্লেখযোগ্য,চিরদিন তাহা অামার মনে থাকিবে -একটি যুবতীকে আমি প্রাণের সহিত ভাল বাসিতাম, ভীষণ যক্ষ্মা রোগে তাহার জীবনান্ত তইবার উপক্রম হইয়াছিল, কিন্তু চিকিৎসা দুরের কথা, তাহার উদয়ারের পর্য্যন্ত সংস্থান ছিল না। কি রূপে তাহাকে বাচাইব, এই চিন্তায় আমি অধীর হইয়। উঠিয়াছিলাম ; কিন্তু কোন উপায় স্থির করিতে না পারিয়া এক দিন আমি মনে করিলাম, আমি যে সকল ছাত্রকে প্রাইভেট পড়াইতাম, তাহাদের কাহারও নিকট উপস্থিত হইয়৷ কিছু সাহায্য চাই ; তখন যদি পাঁচ টাকা সাহায্য পাইতাম, তাহাহইলেও পাচ শত টাকার কাজ হইত। আমি যাহাদের পড়াইতাম, যদি তাহাদের কাহারও সাক্ষাৎ পাই, এই আশায় এলফিন