পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তদশ পরিচ্ছেদ ১৮৭ ঠিকান লেখা আছে, সেই ঠিকানায় পত্ৰখানি লইয়া যাও, যে উত্তর পাইবে তাহ আমার বাড়ীতে দিয়া আসিবে ; আমার নামের এই কার্ড লও, ইহাতে আমার বাড়ীর ঠিকানা লেখা আছে ৷’--নগদ দুইটাক বকশিস পাইয়া বেহার। চিঠি লইয়া চলিয়া গেল, যুবক র্তাহার খসড়া পত্র খানি খণ্ড খণ্ড করিয়া টেবিলের নীচে ফেলিয়া দিলেন ; তাহার পর যৎকিঞ্চিৎ জল যোগ করিয়া সেখান হইতে প্রস্থান করিলেন, আমি তখনও সেখানে বসিয়া রহিলাম।” “কিন্তু আমার মনে বড় একটা কৌতুহল জন্মিয়াছিল, এই ভদ্রলোক কাহাকে পত্র লিখিলেন ? পত্রে এমন কি গুগুতর কথা লিখিলেন যে, পত্র খানি দুই তিন বার ছিড়িয়। ফেলিতে হইল! সেই কক্ষে অঙ্গ কোন লোক ছিল না, কৌতুহল ভরে আমি ধীরে ধীরে টেবিলের নিকট গিয়া পত্র খানির ছিন্ন খণ্ড গুলি কুড়াইয়া আনিলাম ; দেখিলাম তন্মধ্যে একটি টুকরাতে লেখা আছে গুলি করিয়া আত্মহত্যা করিব'; ভয়ে আমি শিহরিয়া উঠিলাম ! আর এক টুকর। খুলিতেই দেখিলাম, ‘লজ্জ ও ভয়ে আমি মৃতবৎ ; তৃতীয় টুকরাতে পড়িলাম, ‘আজ রাত্রেই বিশ হাজার টাকা”—ব্যাপারট। কতক বুঝিতে পারিলেও আমি অত্যস্ত কৌতুহলাবিষ্ট হইয়া ছিন্ন খণ্ড গুলি মিলাইয়া লইয়া পত্ৰখানি পাঠ করিলাম, তাহা এই রূথ,—— ‘প্রিয় ইদলজি, আজ রাত্রেই আমার বিশহাজার টাকার দরকার, তুমি ভিন্ন আর কেহ এত অল্প সময়ের মধ্যে আমাকে এ টাকা দিতে পরিবে না। টাকা গুলি না পাইলে আমার অবস্থা কিরূপ শোচনীয় হইবে ইহা ভাবিয়