পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〉bbー নন্দনে নরক লজ্জা ও ভয়ে আমি মৃতবৎ হইয়াছি ; তুমি কি দুই ঘণ্টার মধ্যে আমাকে.এই টাকা পাঠাইতে পার না ? তোমার উত্তরের উপর আমার জীবন মরণ নির্ভর করিতেছে ; যদি টাকা পাই, তাহা হইলেই আমার প্রাণ ও মান রক্ষ হইবে ; নতুবা গুলি করিয়া আত্মহত্য করিব।” "সে অনেক দিনের কথা হইলেও, পত্ৰখানির ভাষা অবিকল আমার মনে আছে, একথা আপনার নিকট বিস্ময়কর বোধ হইতে পারে ; কিন্তু এত কাল পরেও সেই হস্তাক্ষর যেন আমি চক্ষুর সম্মুখে জগজ্জ্বল্যমান দেখিতেছি । এই পত্রের নিয়ে র্যাহার নাম স্বাক্ষরিত দেখিয়াছিলাম, পার্শি সদাগর সমাজে তিনি সুপরিচিত ব্যক্তি । আমার হৃদয়ে দুর্ণিবার লোভের সঞ্চার হইল ; আমার মনে হইল, আমার আর্থিক অবস্থা যেরূপ শোচনীয় তাহতে এই গুপ্ত লিপির সহায়তায় আমি নিশ্চয়ই কিঞ্চিৎ লাভবান হইতে পারি। একখানা সাদা কাগজ লইয়। এই পত্রের ছিন্ন অংশগুলি আট দিয়া জুড়িয়া লইলাম, তার পর হোটেলের একজন,কৰ্ম্মচারীর নিকট একখানি ডাইরেক্টরী চাহিয়া লইয়া পত্র লেখকের বাড়ীর ঠিকানা দেখিয়া লইলাম। বাজার গেট ট্রীটে তাহার বাড়ী ; সেখানে যাইতে আমার প্রায় আধ ঘণ্টা লাগিল। সেখানে উপস্থিত হইয়া দেখিলাম, দ্বার প্রাস্তে একজন দারোয়ান বসিয়া আছে ; তাহার নিকটে গিয়া বলিলাম, “তোমার মনিবের সঙ্গে একবার দেখা করিতে চাই ।” দ্বারবান উত্তর দিল, “আমার মনিব এসময় কাহারও সহিত সাক্ষাৎ করেন না।’ আমি বলিলাম, “যদি তোমার মনিবকে কোন ভয়ঙ্কর বিপদ হইতে বাচাইতে চাও, তাহা হইলে তাহার নিকটে