পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উনবিংশ পরিচ্ছেদ প্রেমের প্রতিদ্বন্দ্বী দানস কাওয়াসজি দস্তুর মেটা সাহেবের অট্টালিকা হইতে কর্ণেলিয়ার নিকট বিদায় লইয়া রাজপথে উপস্থিত হইলেন। তাহার গাড়ী তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিতে লাগিল, কিন্তু তিনি তাহাতে ন উঠিয়। কোচম্যানকে বিদায় দিয়া পদব্রজে ভিন্ন পথে চলিলেন । তখন র্তাহার হৃদয়ে ঝটিকা বহিতেছিল, তাহার স্বাভাবিক ধীরত। অন্তৰ্হিত হইয়াছিল ; তাহার মুখ বিষন্ন ; পথে চলিতে চলিতে দুষ্ট চারিজন পরিচিত লোকের সহিত সাক্ষাৎ হইলে তাহার। সসম্বুমে তাহাকে অভিবাদন করিল, কিন্তু তিনি তাহাদের দিকে ফিরিয়াও চাহিলেন না ; তাহারা বিক্ষিত হইয়া রহিল । আর কেহ কখনও তাহার এরূপ ভাবপরিবর্তন লক্ষ্য করে নাই ; এমন কি, র্তাহাকে এই ভাবে কখনও পদব্রজেও চলিতে দেখে নাই । দস্তুর সাহেব ভাবিতে লাগিলেন, “সংসারে সুখের স্বপ্ন এইরূপ অলীক ; একটি বালিকার মুখের দিকে চাহিয়া আমি আকাশে মুখের সৌধ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলাম, অদৃষ্টের একটি ফুৎকারে নিমিষ মধ্যে তাহ চূর্ণ হইয়া গেল : একটি বালিকার বেদনাব্যাকুল দুইখানি ছল ছল নেত্রের কাতর দৃষ্টিপাতে আমার জীবনের সকল সংকল্প ব্যর্থ হইল।”