পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀՀ8 নন্দনে নরক কোনও খুত ছিল না, দেহ যেমন স্থপক আঙ্গুরের মত রসে ভরা, মুখ খানি তেমনই চতুর্দশীর চাদের মত হাস্তে ঢল ঢল, তাহার উপর চক্ষু দুটা প্রস্ফুটিত শতদলে উপবিষ্ট ভৃঙ্গ যুগলের স্তায় অতি সুন্দর। তাহার কালো কেশের রাশি দেখিলে বর্ষার আকাশের সজল মেঘস্তরের কথা মনে পড়ে ; অথচ সে কেশ এমন তরঙ্গিত যে, বসন্তের মলয় হিল্লোলে বীচি বিক্ষোভ-চঞ্চল তরঙ্গিণীর বক্ষ ভিন্ন অন্য কোথাও তাহার উপমা পাওয়া যায় না। রমলা সদা প্রফুল্লতাময়ী ; নাচিতে, গাহিতে, রসিকতা করিতে, সরস আলাপে সকলের মনোরঞ্জন করিতে র্তাহার সমকক্ষ রসিক যুবতী পারসী সমাজে তখন আর দ্বিতীয় ছিল না। পরিচ্ছদের আড়ম্বরে কেহই তাহার সমকক্ষ ছিল না। রমলা চতুরা, রসিক, মুখর, তাহার উপর তাহার রমণীসুলভ লজ্জার ও সঙ্কোচের বিশেষ অভাব ছিল ; এই জন্য র্তাহার চরিত্রের কথা লইয়। অনেক নিষ্কৰ্ম্ম লোক নানা রূপ কাণাকণি করিত ; কিন্তু তাহার চরিত্রে কোনও দোষ ছিল না, স্বামীকে তিনি যথেষ্ট ভাল বাসিতেন, ভয়ও করিতেন। একটি সুন্দর পরিচ্ছদে সজ্জিত হইয়া সুরসুন্দরীর ন্যায় নয়ন-মনোমোহিনী মূৰ্ত্তিতে রমলা কোনও বান্ধবীর গৃহে নিমন্ত্রণে যাইবার জন্য প্রস্তুত হইয়া বারান্দায় আসিয়া দাড়াইয়াছেন, এমন সময় দস্তুর সাহেব তাহার সম্মুখে গিয়া দাড়াইলেন। রমলা দূর সম্পর্কে তাহার ভগিনী হইতেন, কিন্তু উভয়েই পরস্পরের নাম ধরিয়া ডাকিতেন। রমলা তাহাকে দেখিয় সবিস্ময়ে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি দীনসা, এমন সময় তুমি হঠাৎ এখানে ! আমি কি স্বপ্ন দেখিতেছি, না এ ইন্দ্রজাল?”— পরান্দায় ধপ, বপ, করিয়া একটা আলো জলিতেছিল, সেই আলোকে