পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RS)e নন্দনে নরক পারি নাই, কাহাকেও কোন কথা জিজ্ঞাসা করিবার সুবিধা হয় নাই। আমি গিয়া দেখিলাম কর্ণেলিয়া নিম্পন্দভাবে শয্যায় পড়িয়া আছে, আর তাহার পিতা মাতা তাহার মাথার কাছে কোচে বসিয়া নীরবে তাহার দিকে চাহিয়া আছেন ; তাহাদের ভাব দেখিয়া বোধ হইল র্তাহারা যেন কন্যার নিকট কোনও গুরুতর অপরাধে অপরাধী ; যেন র্তাহারাই স্বহস্তে কন্যাটিকে বধ করিতে বসিয়াছেন । তাহাদের মুখ দেখিয়া আমার মনে ভয় হইল, তাই আমি যতটুকু পারিয়াছি সন্ধান না লইয়া ফিরি নাই। সে দিন তোমার সঙ্গে কর্ণেলিয়ার সাক্ষাৎ হইয়াছিল ; কিন্তু তুমি চলিয়া আসিবার পর কি হইয়াছিল, কেহই বলিতে পারে না ; তবে জানিতে পারিলাম, সেদিন সে বাহিরে যায় নাই, কিংবা কাহারও নিকট হইতে কোন পত্রও পায় নাই । তুমি চলিয়া আসিবার ঘণ্টা দুই পরে কর্ণেলিয়ার দাসী তাহাকে শয়নকক্ষে প্রবেশ করিতে দেখিয়াছিল, তখন তাহার মুখ ভয়ানক বিমর্ষ, মুখে যেন রক্ত ছিল না; সেখানে হঠাৎ সে চীৎকার শব্দে মূচ্ছিত হইয় পড়ে, তাহার পর হইতেই অজ্ঞান !” দস্তুর সাহেব বলিলেন, “এসকল সংবাদ তুমি আমাকে পত্রে না লিখিয়া এত রাত্রে স্বয়ং এখানে অগসিয়া ভাল কর নাই। অনেকে তোমার দুর্ণাম রটায়, ইহা দুঃখের কথা বটে, কিন্তু অসঙ্গত নয়।” রমল হাসিয়া বলিলেন, "সেজন্য ত দুশ্চিন্তায় রাত্রে আমার ঘুম নাই!” দস্তুর সাহেব বলিলেন, “কিন্তু যখন আমার সাক্ষাতে কেহ তোমার নিন্দ করে, তখন আমি তোমার পক্ষ লইয়া তাহার সঙ্গে খুব ঝগড়া