পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

·ඇළු8 নন্দনে নরক একখানি চিঠি ফেলিবার জন্য সেই পথ দিয়া যাইতেছিল,সে বক্র দৃষ্টিতে উভয়ের দিকে চাহিয়া চলিয় গেল ; দাসী বা নওরোজি কেহই তাহাকে লক্ষ্য করিল না। দাসী নিম্নস্বরে বলিল, “ডাক্তার বলিয়াছে, আজ বৈকালে জর ছাড়িতে পারে, সন্ধ্যার সময় আপনি এখানে আসিবেন, আমি সংবাদ দিয়া যাইব ।” নওরোজি সমস্ত দিনট অত্যন্ত উদ্বেগে কাটাইলেন, যেন দিন আর কাটে না ; সন্ধ্যার পূৰ্ব্বে তিনি যথা স্থানে উপস্থিত হইয়া ব্যাকুলভাবে দাসীর প্রতীক্ষা করিতে লাগিলেন । অন্ধকার বেশ ঘোর হইয়া আসিয়াছে, এমন সময় দাসী হাপাইতে হাপাইতে আসিয়া বলিল, “আর কোন ভয় নাই, জর ছাড়িয়া গিয়াছে ; বেশ ঘুমাইতেছেন।” দাসী চলিয়া যাইবার পূৰ্ব্বেই দস্তুর সাহেব সেখানে উপস্থিত হইয়। ছিলেন ; কর্ণেলিয়ার জর ছাড়িয়াছে শুনিয়া উভয়ে অত্যন্ত আনন্দিত হইলেন। সন্ধ্যার অন্ধকারের মধ্যে দুইজন লোক পথপ্রাস্তবত্তী একটি বৃক্ষের অন্তরাল হইতে র্তাহাদের লক্ষ্য করিতেছিল ;–ইহাদের একজন জেমসেটুজি, অন্য জন বেজানজি । দাসী প্রস্থান করিলে দস্তুর সাহেব নওরোজির হাত ধরিয়া অন্য দিকে চলিলেন । জেমসেটুজি বেজানজিকে জিজ্ঞাসা করিলেন “ঐ ছোকরাটাই কি তোমার মনিবকল্পার প্রণয়ী ?”. বেজানজি বলিল, “তাহাতে কিছুমাত্র সন্দেহ নাই।” জেমসেটুজি বলিলেন, “ছোকরাটার পরিচয় জানিতে হইতেছে।” বেজানজি বলিল, “আমি একদিন উহাকে আমার মনিবের বাড়ীর কাছে ঘুরিতে দেখিয়া উহার সঙ্গ লইয়াছিলাম ; উহার বাসা পর্য্যন্ত