পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একবিংশতি পরিচ্ছেদ S.8 ○ তাহা আমি বলিতে পারি ; সে বিছানায় লম্বা হইয় গুইয়৷ সেই ছড়াটার বিরহে চোখের জলে ভাসিতেছে। এই নচ্ছার মাগীগুলা এক একটা শয়তানি একটু পয়সাওয়ালা লোকের অকালকুষ্মাণ্ডদের দেখিলেই ইহার রূপের ফাদ পাতিয়া তাহাদিগকে বন্দী করে, ও তাহাদের সর্বস্ব হস্তগত করিয়া হাতে খোলা তুলিয়া দেয়। জাহাঙ্গীরটা এমন হতভাগা ও নরপিশাচ যে, যদি উহার গর্ভধারিণী পরম পতিব্ৰতা না হইতেন, তাহা হইলে সে যে আমার সস্তান, একথা কোন মতেই বিশ্বাস করিতাম না।”—বৃদ্ধ দুই হাতে মুখ ঢাকিয়া নতমস্তকে অবস্থান করিতে লাগিলেন । নওরোজি জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনার কি কিছু কষ্ট হইতেছে ?” কাম সাহেব বলিলেন,"র্হা আমি মনে বড় বেদন পাইয়াছি ; আমি উহার পিতা বটে, আর আমার স্নেহ মমতারও অভাব নাই, কিন্তু ভদ্রলোকের যাহা কৰ্ত্তব্য আমাকে এখন তাহা করিতেই হইবে। আজই আমি আমার এটণীকে লিখিয়া পাঠাইব, আমি উহার ঋণের জন্য দায়ী নহি, একথা যেন তিনি সংবাদপত্রে ঘোষণা করেন। আমার টাকা কড়ি যাহা কিছু আছে, কোনও দেশহিতকর কার্য্যে আমি সমস্ত দান করিয়া যাইব, হতভাগাকে এক পয়সা ও দিব না । আমার ছেলে যে চির দিন একটা বেখ্যার চরণে পুষ্পাঞ্জলি দিবে ও তাহাকে লইয়া সমাজে ঢলাঢ়লি করিবে ; আমার বংশের সন্মান, গৌরব সকলই নষ্ট করিয়া ফেলিবে, ইহা কোনও মতে আমার সহ হইবে না।” নওরোজি বলিলেন, “এত কম বয়সে এমন বিগড়াইল কেন ?” কামা সাহেব বলিলেন, “যাহার বাপের পয়সা আছে, তাহার আর