পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাবিংশ পরিচ্ছেদ নুতন কৌশল নওরোজি নূতন উদ্যমে ও দ্বিগুণ উৎসাহে দরাবজি কামার নুতন অট্টালিকার চিত্রের কার্য্য চালাইতে লাগিলেন। বৃদ্ধ কামা সাহেব কাজ দেখিয়া প্রস্থান করিলে, নওরোজি একটি কক্ষ চিত্রিত করিতে আরম্ভ করিয়াছেন, এমন সময়ে একটি শ্রমজীবি বালক আসিয়া তাহাকে জানাইল, একজন ভদ্রলোক র্তাহার সহিত দেখা করিতে আসিয়াছেন । , সে সময় কোন ভদ্রলোকের সেখানে তাহার সহিত দেখা করিবার সম্ভাবনা ছিল না ; তথাপি তিনি তুলি ফেলিয়া বিক্ষিত ভাবে অট্টালিকা হইতে নামিয়া আসিলেন ; নীচে আসিয়া দেখিলেন, দস্তুর সাহেব তাহার অপেক্ষায় দাড়াইয়া আছেন । নওরোজি তাহার নিকটে আসিয়া অভিবাদন করিয়া বলিলেন, “আপনি যে আসিয়াছেন, এ কথা আমি অনুমান করিতে পারি নাই ; কোন সংবাদ অাছে কি ?”—হঠাৎ দস্তর সাহেবের মুখের উপরে তাহার দৃষ্টি পড়িল ; দস্তার সাহেবের মুখে গাম্ভীৰ্য্য ও বিষাদ সুপরিস্ফুট দেখিয়া নওরোজি সঙ্কুচিত ভাবে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কৰ্ণেলিয়ার অসুখ কি বাড়িয়াছে ? আপনাকে এত গম্ভীর ও বিমর্ষ দেখিতেছি কেম ?” দপ্তর সাহেব বলিলেন,“কৰ্ণেলিয়ার অসুখ বাড়িলেও এত দুশ্চিন্তার কারণ ছিল না, কেবল তোমার জন্যই আমি দুইবার কর্ণেলিয়ার সহিত