পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

పి(b* , নন্দনে নরক রমল'বলিলেন, “না, সে বলিল, “আমি যে টাকা পাইলাম, তাহার একটা রসিদ দেওয়া আমার কৰ্ত্তব্য।’ জহরী তাহার পকেট হইতে একটা সিপি-জাট দোয়াত ও কলম বাহির করিয়া সেই বিলের পৃষ্ঠে লিখিল, “আমি ফজলভাই জিজিভাই সাহেবের স্ত্রী রমলা বাই সাহেবার অলঙ্কারের মূল্য বাবদ নগদ আড়াই হাজার টাকা পেষ্টনজি সাপুরজি সাহেবের নিকট বুঝিয়া পাইলাম’ ।” দস্তুর সাহেব জিজ্ঞাসা করিলেন, "জহরীট প্রস্থান করিলে পেষ্টনজি তোমাকে কি বলিল ?” রমলা বলিলেন, “দেখিলাম তিনি কোনও কথা খুলিয়া বলিতে রাজী नन्; তবে তাহার কথার ভাবে বুঝিতে পারিলাম, তিনি আমাদের কর্ণেলিয়াকে ভয়ঙ্কর ভাল বাসিয়া ফেলিয়াছেন, তাহাকে না পাইলে আর র্তাহার প্রাণ রক্ষা হয় না । অবশেষে তিনি আমাকে জানাইলেন, তাহাকে সঙ্গে লইয়া আমাকে একবার কর্ণেলিয়ার পিতামাতার নিকট যাইতে হইবে। বিবাহের ঘটকালির ভারটা তিনি আমার উপরেই দিয়াছেন ৷” এই কথায় দস্তুর সাহেব ও নওরোজি উভয়েই চমকিয়া উঠিলেন, তারপর উভয়েই এক সঙ্গে বলিয়া উঠিলেন, “এই সেই লোক !” কুমলা সবিস্ময়ে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোমাদের একথার অর্থ कि ?” দম্ভর সাহেব উত্তেজিত ভাবে বলিলেন, “আমাদের কথার অর্থ এই যে, এই পেষ্টনজিট ভয়ঙ্কর পাজী, বদমাইস, প্রবঞ্চক ; সে তোমাকে বোকা বানাইতে গিয়াছিল।”—অনন্তর কর্ণেলিয়ার বিবাহ সম্বন্ধে