পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬e নন্দনে নরক রমলা বলিলেন, “ন সে, নিজে আর কখনও তাগাদায় যায় নাই। এই প্রথম তাহাকে আমার কাছে তাগাদায় যাইতে দেখিলাম।” নওরোজি জিজ্ঞাসা করিলেন, "পেষ্টনজি কি খুব টাকার মামুৰ ?” রমলা বলিলেন, “যদি কখনও সে তাহার দাদার সম্পত্তি হাতে পায়, তাহা হইলে সে ধনবান হইতে পারে ; এখন শুনিয়াছি দেনার দায়ে তাহার মাথার চুল পৰ্য্যন্ত বিকাইয় আছে।” নওরোজি জিজ্ঞাসা করিলেন, "এত টাকা যাহার দেন, তাহার পকেটে যে কোন সময় দুই তিন হাজার টাকার নোট থাকা কি সম্ভব ? বিশেষতঃ এমন লোক কে আছে, যে কোথাও ভ্রমণে বাহির হইবার সময় বিনা উদ্দেশ্বে এতটাকা পকেটে করিয়া লইয়া যায় ? অার জহরীকে যতগুলি টাকা দিতে হইবে, ঠিক ততগুলি টাকা তাহার সঙ্গে ছিল, ইহা কি আপনার নিকট বিচিত্র বোধ হয় না ?” রমলা বলিলেন, "ই খুব বিচিত্র সন্দেহ কি ? কিন্তু একথা পূৰ্ব্বে অামার মনে হয় নাই ।” নওরোজি বলিলেন, “আর একটা কথা জিজ্ঞাস করিব ; জহরী ঢাকার রসিদ লিখিবার পুৰ্ব্বে নোটগুলা কি গণিয়া লইয়াছিল ?” রমলা বলিলেন, “না, তাহাকে নোট গণিয়া লইতে দেখি নাই।” নওরোজি বলিলেন, “সে টাকার রসিদ দিল, অথচ ব্যাগে টাকা আছে কিনা তাহ ব্যাগ খুলিয়া দেখিল না ! ইহ। বড়ই আশ্চর্য্য কথা ।” দস্তুর সাহেব বলিলেন, “এই ব্যাপারের আগাগোড়া সকলই অtশ্চৰ্য্য । 壘