ՀՊօ নন্দনে নরক সত্য, ইহা স্মরণ রাখিয়া তোমাকে কাজ করিতে হইবে। তোমাকে যে মানুষ সাজিতে হইবে, তুমি যে সেই লোক, এই ধারণাটি তোমার মনে বদ্ধমূল হওয়া আবশ্বক ; যে নিজের ব্যক্তিত্ব বিসর্জন দিয়া সম্পূর্ণ নুতন লোক সাজিতে না পারে, সে কখনও অন্যকে প্রতারিত করিতে পারে না। তোমাকে অন্যের চক্ষে ধূলিনিক্ষেপ করিয়া সংসারে কৃতকাৰ্য্য হইতে হইবে ; এজন্ত তোমাকে কি করিতে হইবে শুন । তুমি কে, কাহার সস্তান, পুৰ্ব্বে কি করিতে, কোন স্ত্রীলোককে তুমি ভালবাসিতে,এ সকল কথা তোমাকে একেবারে ভুলিয়া যাইতে হইবে ; সৰ্ব্বদা স্মরণ রাখিবে তুমি সে প্রেমূজি নও, সেই প্রেমজি ক্ষুধায় যন্ত্রণ সহ্য করিতে না পারিয়া হোটেলে আত্মহত্যা করিয়াছে ; দরকার হইলে সেই হোটেলওয়ালাই এবিষয়ে সাক্ষ্য দিবে। তুমি হয়ত ভাবিতেছ, মানুষ তাহার পুৰ্ব্বস্তৃতি বিসর্জন দিতে পারে না ; কিন্তু তাহ তোমাকে দিতে হইবে ; কারণ ইহাই তোমার সাধনা । তোমাকে এত দূর পৰ্য্যন্ত আত্মবিশ্বত হইতে হইবে যে, যদি পথে তোমার কোন পরিচিত লোক তোমাকে ডাকে, তাহা হইলে সে কথা তুমি কাণেও তুলিবে না, তাহার দিকে ফিরিয়াও চাহিবে না ; এমন কি, তাহাকে চিনিতে পারিয়াছ, এরূপ ভাবও দেখাইবে না।” এইবার প্রেমজির মুখে ভয়ের চিহ্ন পরিস্ফুট হইল ; সে কাতরম্বরে জিজ্ঞাসা করিল, “তবে আমি কে ?” | এই প্রশ্নে পিশাচের মুখে হাসি কুটিল ; সে বলিল, “তোমার নাম প্রেমজি, তাহাতে আর সন্দেহ নাই ; অতি শৈশবকাল হইতেই তুমি একটি অনাথাশ্রমে প্রতিপালিত হইয়াছ ; কিন্তু তোমাকে কে